Tuesday, August 29, 2023

জঞ্জাল




আত্মীয়তা তো ওই ছেঁড়া বাতিল কাগজের টুকরোগুলোতেও অনুভব করি যেন... কই একেবারে কখনো বাইরে ফেলে দিতে পারিনা তো। কোথায় যেন বাঁধে... হ্যাঁ, কোথাও যেন বাধে। প্র্যাকটিকামের খাতায় স্থান না পাওয়া ওই অভাগা পাতা গুলোয় যেন কোনো এক বিশেষ আবেগ , কোনো এক মায়া অনুভব করি। তাই তাদের একটা আলাদাই ফাইল বন্দী করেছি। ওগুলো তোমার জঞ্জাল, আমার আবেগ। ওরা যেন জীবনের কোনো এক সুন্দর সময়ের শহীদ। ওরা কোনো কিছুকে যোগ্য ও সুন্দর করে নিজেদের নিমেষে বলি দিয়েছে। ওদের নিয়ে আবেগ থাকবে বৈকি...। আমার আবেগ আধাঁরে নিভৃতে কাঁদে... সেগুলো কথা বলে, ভারি মিষ্টি স্মৃতি উপহার দেয়, আর আমাকে ভালোবাসে, অনেকটা... যেমন টা কেউ কখনো বাসেনি। ভালোবাসা কোনো বস্তু হতেও অনুভব করা যায়, ব্যক্তি তো সর্বদা নাও থাকতে পারে জিবনে, পাশে...। এই এতটা পথ পেরিয়ে বুঝি , ছেঁড়া পাতায় যদি তোমাকে মনে না পড়ে, তাহলে সে পাতা আমার " জঞ্জাল "। আর শুধু ছেঁড়া পাতাই কেন, সেই ভাঙ্গা মন আজও কোথাও বেঁচে আছে। কখনো সেই ভাঙ্গা মনেই মনেপড়ে যায়... কে যেন কখনো আমাকে বলেছিল, - "জঞ্জাল!"।  জঞ্জাল নিভৃতে কেঁদেছিল...।🙂

Sunday, August 20, 2023

জীবন স্রোত...




সবাই দুর্দান্ত...!

হ্যাঁ, সবাই দুর্দান্ত ক্লান্ত...

জীবনের পথ চলায় আমরা সবাই এই কয়েকটা দিন একসাথে পা মিলিয়ে চলেছি। জীবন আবার চেনা ছকে চলে না। অনিশ্চয়তা থাকবেই, আর এর জন্যই জীবন টা হয়তো এত সুন্দর। অচেনা জনগুলো চেনা হতে হতে কোথায় যেনো হারিয়ে যায়। এই হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রত্যাশার ছোট ছোট নদ নদী নিয়ে। জানি সকলেই সাগর পাড়ি দেবো একদিন , তবে প্রত্যাশার মোহনাস্থল গুলো ভিন্ন। এখন মন চায় কোনো একটা মোহনায় একসাথে সকলে পাড়ি দিতে। কিন্তু  জীবন কারো  প্রত্যাশী নয় । জীবন চায় আরও শাখা নদীর জন্য প্রস্তুত হতে, সে বলে আরও উপনদীর আগমনের কথা ও আরও নিস্বার্থ মিলনের কথা। আর হ্যাঁ, সর্বপরি সর্বদা আরও ভালোবেসে সামনে ভেসে যাওয়ার কথা। এই নদ নদীর জলে কত জনই না চাষাবাদ করে, নদীপাড় কেটে কিছু জল নিয়ে অন্য জলাশয়ে সঞ্চয় করে রাখে, জীবন যাপন করে। কত পরিবার সপরিবারে খেলা করে , সাঁতরে যায়, ডিম পাড়ে, কত জনই যে দাঁড়  টেনে জীবন দাঁড় করাতে চায় নদী তার হিসেব রাখে না, জীবনও তাই এই হিসেব রাখবে কীভাবে। জীবন জানে তার কিছু স্মৃতি ওই জলাশয়ে আছে সঞ্চিত। সময় হলে সেও বছরে দুই এক বার দুকূল ছাপিয়ে ওই স্মৃতির জলাশয়ে গিয়ে ঝাঁপ দেয়, সমৃদ্ধ করে আসে, সমৃদ্ধ হয়েও আসে। কোনো জীবন ভালোবাসে পার্বত্যভূমি, সে চায় ঝর্না হয়ে সশব্দে কোনো উঁচু পর্বত বা পাহাড় থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়তে। কেউ সমভূমি দিয়ে দূষিত ক্লান্ত যমুনা হয়ে প্রবাহিত হতে, কেউ আবার  ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়েই পরিশ্রুত বেশে নিঃশব্দে নেচে চলতে। ঠিক যেমন সকলের জীবনের লক্ষ্য  উদ্দেশ্য ছন্দ ও পছন্দ ভিন্ন। এই ভিন্নতাই বৈচিত্রতা, এটাই সুন্দর। সকলের বুকেই সূর্য উদয় হয়, একই ভাবে অস্তও যায়। স্বপ্ন আমাদের একটাই... ' সেই কোনো একদিন সকলে মিলে সাগরে একসাথে সূর্যোদয় দেখা '। কিন্তু সেই পথ এখনও অনেক দীর্ঘ। এখনও কত পূর্ণিমার চাঁদ সকলের বুকেই প্রতিফলিত হ‌ওয়ার আছে । তাই সমভূমিতে জীবনগুলোর সৌন্দর্য নিয়ে পরিচিত বা অপরিচিত লেখকজনেরা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করেন  । কিন্তু ওই সকলের আড়ালে, ঘন জঙ্গলের ভিতরে জীবনের বুকে প্রতিফলিত হ‌ওয়া চাঁদটার কথা, সেই জীবনের ভালোবাসার কথা কেউ জানতেও পারে না। পূর্ণিমাতে সে খুব বেশি আনন্দিত হয় না যেমন, অমাবস্যাতেও তার দুঃখ বন্ধু হয়ে পাশে বসে না আর ,  কোনো উপায় নেই। কখনো সে মৃত, কবরস্থ। ভালোবেসে সে বুকে আশ্রয় নেয় বালি , ও পাষাণ পাথর। আকাশে ভালোবাসার পূর্ণিমা ওই পাষাণ হৃদয়েই উঁকি  দিয়ে যায় , তখন কি তাকে বুকে ধরার সৌভাগ্য আর হয়? তা হয় না।  এই ভালোবাসায় কবিদের নজর লাগে না। তার ভালোবাসা থাকে অন্তরালে, অলিখিত, অলক্ষিত। তার প্রেমের ভাষাও আলাদা, এই ভালোবাসা স্বচ্ছ কাচের মতো পরিষ্কার । এই ভালোবাসা অনেক বেশি সম্মানের। অনেক বেশি গোপন, গোপন প্রতিফলনও। কালো মেঘ যদি তার ভালোবাসা ঢেকে দেয় কখনো, এই নদী চায়, এই জীবন চায় ওই কালো মেঘের প্রতিটা জলবিন্দু কে নিজের বুকে ধরে তার ভালোবাসার মুখে হাসি আনতে। আর তখন প্রকট যেন পূর্ণিমার স্বরূপ। সেই  প্রশান্তিতে ভরা পূর্ণিমা চাঁদ সেই বুকে ঢেলে দেয় তার ভালোবাসা। এই চাঁদের কলঙ্ক গুলো জীবন তার জীবন স্রোতে দেয় ধুয়ে , নিয়ে যায় ভাসিয়ে সাগরে চিরকালের মতো। যেখানে উদয়ীমান সূর্যদেবতার কাছে নিজের জীবন অঞ্জলী দিয়ে করে ভালোবাসার মঙ্গল কামনা , "সে যেন সর্বদা ভালো থাকে, সে যেনো সুখী হয়..." জীবন দেখায়, শেখায় ভালোবাসার স্বরূপ ত্যাগ, ত্যাগ স্বীকার। ভালোবাসায় ত্যাগস্বিকার, ত্যাগ স্বীকারই ভালোবাসা। 

ক্লান্তি জীবন কেড়ে নিলেও ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারবে না, কোনো দিন না...

Wednesday, August 16, 2023

ভালোবাসার কী দরকার?

 





ভালোবাসার কী দরকার...


শুধু চোখে চোখের দেখা দেখা, আর? আর শুধু ভেবে চলা ,আর চলার পথে ভাবা...। এটাই ভাষা। সেই ভাষার কী বা দরকার যার জন্য শ্রোতার প্রত্যাশী হতে হয়? অন্যের উপস্থিতি থাকতে হয়। ভাষাহীন নিজেকে অনুভব করাই যায়। ভালো সেই শিশুও বাসে, যার এখনও ভাষা নেই। ভালোবাসাও ভাষার খোঁজ রাখেনি...

তাই, ভাষার কী দরকার?

আর, ভালোবাসার কী দরকার...

ভালোবাসা পাওয়ার কী দরকার...

বেলিফুল





এই পৃথিবী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা, আবেগহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখানে আবেগে লাল কালির দাগ। হৃদয়হীন রোবট গুলোর আনাগোনা চারপাশে। একবার মনেহয় হৃদয়টা খুলে রেখে রোবট হয়ে যাওয়ার উপায় থাকলে ভালো হতো। তাহলে অন্তত ভালো থাকতাম। হৃদয় থাকলেই যেমন সে অন্যকে তাতে রাখবে বলে উতলা হবে, আবার তেমনি আর এক অন্য হৃদয়ে ঠাই পাওয়ার জন্যও এটা অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে উঠবে। আর হৃদয়ের খোঁজে নতুন জায়গায় পাড়ি দেওয়ার সাহস আমার নেই, অবকাশও নেই আর। তাই, এটার এই জগতে এমনিতে দরকার ও বিশেষ নেই। কখনো কখনো অনুভব করি যেন এক মানসিক রোগ নিয়ে জন্মেছি। মাথার ভিতর কে যেনো একটা হাতুড়ি মারতে থাকে আমার স্বপ্নঘুম গুলোকে। সে স্বপ্নে অন্ধকার রাস্তায় আমি একা হাঁটতে থাকি। কুকুরগুলো ফুটপাতে শুয়ে মাঝে মাঝেই তুচ্ছ কারণে চিৎকার করে ওঠে। হাঁটতে থাকি... অন্ধকারে পেছন থেকে কে যেন আমাকে একধাক্কায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। উঠে বসি , উঠে দাঁড়াই, আবারও চলতে থাকি। বেশ কিছু পথ যাওয়ার পর আবারও ধাক্কা লাগে , আবারও পড়ে যাই। এই বার এক হালকা যন্ত্রণা অনুভব করি যেন। মুখতুলে দেখি এটা অন্য এক ধাক্কা, একখানা মিষ্টি মুখ, যেন অনেক দিনের চেনা, আমায় ভেতর থেকে জানে কেউ, বোঝে কেউ এমন একজন। উঠতে গিয়ে আবারও পড়ে যাই, কোথায় আঘাত লেগেছে বুঝতে পারছি না ঠিক। সে আমার হাত ধরে আমাকে তোলে। আমার হাতে তার হাতের কোমল স্পর্শে বুকের যন্ত্রণা ভুলে যাই। কিন্তু  একি...! তার চোখে জল কেনো? দুই চোখে অনবরত অশ্রুধারা বয়ে চলেছে তার। আমার জীবনের এই অন্ধকার রাস্তার অন্য প্রান্ত হতে হাতে ফুল নিয়ে হাঁটছিল সে, 'বেলি ফুল'। হাতে তার বেলিফুলের মালা। হয়তো বা তার কোনো বিশেষ প্রিয় মানুষের জন্যই এটা গাঁথা। কে জানে, হয়তো সেই তার  উদ্দেশ্যেই সে কোথাও হাঁটছিল। হয়তো ওই ফুলগুলিও তারই জন্য। আর আমি একধাক্কায় তার সেই সব ফুলগুলো মাটিতে ফেলে দিয়েছি। ছি...ছি... এ আমি কী করেছি! ভুল করেছি আমি। শাস্তিও মাথা পেতে নেব, সে দিলে । ফুলগুলি একটা একটা করে কুড়াতে থাকি আমি, ভাবি জিজ্ঞাসা করি, " আমার এই অন্ধকার রাস্তায় তুমি এই ফুল নিয়ে কী করছো? কাকে দেবে? কে নেবে আমার এই রাত্রি বেলায়?' অবশেষে কিছুই জিজ্ঞাসা করি না, সব ফুলগুলো তাকে দিয়ে দিই। তার হাসিমুখে আমার অন্ধকার ভোরের আকাশে সূর্য দেখা দেয় । হাসিমুখে সে চলে যেতে থাকে। নিস্তব্ধ রাস্তায় আমি দাঁড়িয়ে দেখি তার এক পা, এক পা, করে মিলিয়ে যাওয়া। হঠাৎ দেখি আমার হাতে তখনও একটা ফুল, হ্যাঁ বেলি ফুল! হাতে লেগে ছিল কোথাও, অন্ধকারে ভালো করে দেখিনি, হাতেই লেগেছিল কোথাও । কিন্তু এটাতো আমার ফুল নয়, এটা ওই মেয়েটির ভালোবাসার ফুল। আমি এটা কীভাবে রাখি নিজের বলে, আমি এর অন্যায় অধিকারী হতে পারি না। সে অধিকার আমার নেই, এটা অন্যায়, এটা অনুচিত...। ফিরিয়ে দেব বলে চেঁচিয়ে ডাক দিলাম , " এই বেলিফুল...!! তোমার ফুল নিয়ে যাও!" মুখ তুলে দেখি সে নেই। চলে গেছে। ভাবতে থাকি, " এই ফুল আমার কাছে নষ্ট হয়ে যাবে, এই আগুনে পোড়া জিবনে এই ফুলটাকে কী ভাবে অক্ষত রাখবো আমি, আমি যে এটাকে নষ্টই করে ফেলবো, তুমি এই ফুল নিয়ে যাও... নিয়ে যাও এই ভালোবাসা, নিয়ে যাও... ।" আমার সূর্যদয় হতে হতে হলো না। কালো মেঘে আকাশ সেজে উঠেছে, আঁধার ঘনিয়ে এলো। ফুলটা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে গিয়ে চোখ থেকে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে তাতে মুক্ত বিন্দু হয়ে গেলো। নিমেষে বৃষ্টি নামলো আকাশে। বিদ্যুৎ চমকাতেই দেখি হাতে ধরে থাকা ফুলটায় আমার অশ্রু ফোঁটায় বৃষ্টির ফোঁটা মিশেছে, আর কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আর কেউ কিছু কখনো কোনোদিন বুঝতে পারবে না। ধুয়ে গেছে সেই অশ্রু... ধুয়ে যাবে আছে যাকিছু, যতটুকু। তবু চেস্টা। দ্রুত বুকের বাম পাশের পকেটে ফুলটা আলতো করে ধরে রেখে বৃষ্টিতেই হাঁটা দিলাম... বেলিফুল বুকেই হাঁটা দিলাম...। আচমকাই আবারও কে যেনো মাথায় ভেতর থেকে হাতুড়ি দিয়ে ঘা দিল! ”আ...হা..!” বলে চিৎকার করে যন্ত্রণায় চোখ বুজে জ্ঞান হারালাম। চোখ খুলে দেখি বিছানায় আমি... মাথায় তখনও ব্যাথা...।

Tuesday, August 15, 2023

বাঁধন

 



বাঁধন

বাঁধন খুলতে তখনও চোখে জল আসতো। মায়ের আঁচলের বাঁধন। অপু দিবা নিদ্রায় বন্ধুত্ব কখনো করতে পারে নি। এখন নিদ্রা তাকে রাত্রেও একা ছেড়ে দিয়েছে। এখন আঁচল আছে, বাঁধন নেই। সে ভাবে মাকে জিজ্ঞাসা করে, " আচ্ছা মা, তুমি আমাকে আর এখন বেঁধে রাখনা কেনো তোমার আঁচলে?" শোষণ গুণে এ যেন সেই বিশল্যকরনী ... ছেলে বেলায় ঘাম , ভিজে হাত মুখ মাথা আর এখন, চোখের জল গোপনে...আগে ছেড়ে যাওয়ার আকুতি বায়নায় সেই জল...আর এখন

ছেড়ে যাওয়ার আফসোসে। সে জানে, মাও বোঝে... কোথাও বাঁধা পড়লে মা-ই আগে বোঝে। আশ্রয় পায় সেই মমতাময়ী আঁচলে। সে ভাবে, " আমাকে তুমি সারাজীবন বেঁধে রেখো মা, কোথাও নতুন করে বাঁধা পড়তে যাতে না হয়।" 

এখন বাঁধন খুললে চোখে জল আসে...🌧️🌧️🌧️


Monday, May 8, 2023

সর্বহারা

 



সর্বহারা


ভেসে ছিলাম, একসাথে কখনো দুজনে...

 ঘনীভূত আবেগের মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে সেই কবে,

সূর্য আবারও বেসেছিল ভালো...

ভালোবাসা যেন সদ্যস্নাত পাতায় 

তখনও জ্বেলে রেখেছিল আলো।

রেখেছিল বৃন্তে, একফোঁটা সিক্ত ভালোবাসা...

গাছটা তখনও ছিল, আছে আজও। রেখেছে এখনও জীবিত, সুপ্ত পুরানো সেই আশা।

মনের ক্ষত ভালোবেসে বাকল দিয়েছে ঢেকে 

মজবুত করেছে কান্ড, শিরদাঁড়া...

ঝরে যাওয়া পাতায় জীবনের হিসেব শুকনো, হিসেবের খাতায় আমি এক সর্বহারা...।


সোমনাথ


Wednesday, April 12, 2023

গাজন

 



গাজন


গাজন, চৈত্রের এক বিশেষ দিন, যেখানে ছোট থেকেই দেখি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সন্ন্যাস (চলিত ভাষা : উত্তুরি ধারণ ) নিয়ে সকাল থেকে একটা দল বাড়ি বাড়ি যায়। " বাবা তারকনাথের চরণের সেবায়, মহাদেব..! " এই স্লোগানে মুখরিত দলটি সেই সকল পরিবারের মঙ্গল কামনা করতে থাকে বাড়ি বাড়ি। সঙ্গে হাঁটেন ঢাকি, ও কাঁসর বাদক, আর পাড়ারই কিছু বাচ্ছা ছেলে, ওই কিছু ডাব ও বাতাসার টানে পেছন পেছন যাওয়া ছোট ছেলেরা। বাড়িতে প্রবেশের সাথে সাথে তারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায় । তারপর মা কাকিমাদের দেখেছি তাদের পায়ে জল ঢেলে ধুয়ে দিতে ও তাদের প্রণাম করতে। তারপর বাতাসা ছড়ানো, ও তাদের উদ্দেশ্যে কিছু গোটাফল দেওয়া। আমিও আমার বাড়ির দিদি ও দাদাদের সাথে হরিলুঠ বা ছড়ানো বাতাসা কুড়িয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রস্তুত থাকতাম, আর শুরু হওয়ার সাথে সাথেই সে যা করতাম তা আর বলার নয়। কখনো তো একটা বাতাসাকে নিয়ে দুজনে টানাটানি, ঠেলাঠেলি ও ঝগড়া হয়ে তিন চারদিন আমাদের মধ্যে কথা বলাই বন্ধ থাকতো। একবার ওই সমস্যায় নিজেদের জড়িয়ে আমি আর দিদি গিয়েছি মা-এর কাছে, বাতাসা টা কে নেবে সেই সমাধানের আশায়। আর আমি যেতে চাইতাম না কারণ মা আমার কথা কবেই বা শুনেছে যে পুরো বাতাসাটা আমার হবে...! যাইহোক গেলাম, মা শুনলো আর বাতাসা টা নিয়ে দিদিকে দিয়ে দিল সঙ্গে সঙ্গে। আমার আর কী, কান্নাই সম্বল তখন। কী আশায় আসা, আর কী হয়ে গেলো। বাবা আমাকে বলল, "দিদির বাতাসা বেশি হবেই তো, কারণ গাজনের দল তোমার নাম ধরে ডেকেছিল, কিন্তু দিদির নাম তো ডাকেনি, তাই ওকে বাতাসা বেশি দিতে হবে।" আমি জিজ্ঞাসা করলাম, " ওর নাম ডাকেনি কেনো?" সেই প্রশ্নের যথার্থ উত্তর যাই হোক আজও পাওয়া যায়নি। তবে বেশ সুন্দর স্মৃতি বলা যায় এটা আমার। এবার বিষয় টা বলি... গাজনের দল, ওই 20 থেকে 25 জনের মতো, বাড়িতে আসার আগে , মূলত  পরিবারের প্রত্যেক পুরুষ সদস্যদের নাম লিখে রাখা হয়, যাদের নাম ধরে সন্ন্যাসীদল বলে ওঠে, " নাম + এর মঙ্গল হোক...!" মহিলাদের নাম কেনো এখানে লেখা হয় না বা তাদের মঙ্গলের কোনো দরকার আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর আমি আজও জানি না। কিন্তু ছোট বেলায় দিদির নাম লেখা হয়নি বলে ওর ঠোঁটটা ফুলতে দেখেছি, মনে আছে। ও মনে হয় 2 টো বাতাসা বেশি পেয়ে খুশি থাকতো কিনা জানি না। বলাবলি কী, মেয়েদের ভাষায়, "এই সব বাড়ির মা মেয়েদের ব্যাপার বেশি জেনে কী দরকার তোর...?" তাই না?

আপনাদের জানা থাকলে নিচে দেওয়া অনুভূতির পাতায় অবশ্যই জানাবেন...🙏😌

Tuesday, March 21, 2023

বসন্তের রঙ 💐

  



বসন্তের রঙ


এমনিতে সে নবীনা, চঞ্চলা... প্রাণ বন্ধু বলাই শ্রেয় কিন্তু দেখেছি যেকোনো উদ্যোগ বা দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ্বাস ও স্বতস্ফূর্ততায় সে মুহূর্তে কেমন যেনো দিদি হয়ে ওঠে আমার। কি জানি, এখন এই আমি সর্বদা স্বাধীন সৈনিক তার ওই আদেশ পেতেই পছন্দ করি। তার প্রতি নির্ভরশীলতা নিজের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে যেনো মনে হয় না কই। তার মার্জিত সহজ আচরণ, শালীনতা , উদার মানসিকতা তার প্রতি আমার নির্ভরশীলতা বাড়ায় বই কমায় না। এটা সত্যি যে এই সৌন্দর্যের প্রশংসায় ভাষার অভাববোধ করছি। এক নিঃশর্ত সৌন্দর্য্য শাসন তার মুখবয়বে সব সময় মাখা, ঠিক মা যেমন সন্তনেরে করে...


শাড়িতে দেখেছি তাকে, লাল পাড় আর হলুদে, দেখেছি বেনিতে তার ফুল, দেখেছি তার অলক্ষ্যে, দুর হতে বেশি করে... তার চোখে চোখ রেখে তাকে দেখা না দেখার সমান , সেই  স্পর্ধা আমি করিনা, তাহলে তার অনেক কিছুই দেখা হয় না, তাই দুর থেকেই সই... 

হ্যাঁ শুধুই দেখেছি... নিজের মনের গলায় দড়ি বেঁধে শুধুই তাকিয়ে থেকেছি... দেখেছি তাকে পরিপাটি আঁচলে, দেখেছি তাকে শাড়ির কুঁচির দোলায়, ভাঁজে ও ওঠা নামায়... পাশ দিয়ে দূরে হেঁটে যেতে, সবাইকে নিয়ে.., একসাথে হাসতে, হাসাতে, খেতে, খাওয়াতে। 

শুধু আমি একা নই, আমরা অনেকেই তাকিয়ে থেকেছি যখন সে একদিন নেচেছিল বসন্ত উৎসবে ।


সেইদিন লেগেছিল বসন্তের রঙ, মনে। মাখিয়ে ছিল সে, নিজ হাতে... কোনো এক অজানা অভিমানে...

তাকে স্বীকার করেছি গোপনে, মনে মনে। করেছি পূজা স্বপনে... অনুভব করেছি এই নারী, শাড়িতে পুরুষ মানুষকে গলায় নিঃশর্তে পড়াতে পারে দড়ি...

কোথাও এক লজ্জা দিয়ে যায় যেন, এই লজ্জা সেই লজ্জা নয়, এটা সেই লজ্জা যার সামনে যেতে পুরুষ ভালোবাসে, এই লজ্জায় হার স্বীকারে কোনো লজ্জা নেই... এই লজ্জায়  মৌনবাসে বনবাস যাওয়া যায়...

প্রকাশ্য প্রশংসা ? না না। এটায় আশঙ্কা আছে। তাকে হারানোর আশঙ্কা, নষ্ট করে ফেলার আশঙ্কা, আশঙ্কা মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবার... তাই এই লেখার আশ্রয় নিয়েছি। অনুভব করেছি কেনো মানুষ তার জীবনের অমূল্য সম্পদ গুলোকে নিভৃতেই লালন পালন করে, অন্তরালে। সে যেন সর্বদাই ভালো থাকে, সুখী হয়...। 


নজর কাড়ে... তাই নজর লাগে। জীবনে হারিয়েছি অনেক, পেয়েছিও অসংখ্য।তবুও তাকে ওই না পাওয়ার তালিকায় ভালোবাসতে ইচ্ছা হয় না।  তাকে সবেতে মিশিয়ে ফেলেছি, চিনি আর দুধ যেমন মেশে একে অপরের সাথে। আবার কি নিয়ন্ত্রণ হারাব? না থাক... অসংখ্য আশঙ্কায় মন ভিজে... নতুন সূর্য উদয় না হলে রৌদ্রে মেলবো কী ভাবে?...এই  প্রশ্নের উত্তর অজানাই থাক...


 তোমায় প্রকাশ করতে গিয়ে দেখি আমি পুরির সমুদ্র সৈকতের সামনে দাড়িয়ে...🌼💞


Monday, March 20, 2023

চা-বিস্কুট 😃

 





মলয়দার বাড়িতে গিয়েছি, দাদা কে ডাকতে, ক্রিকেট খেলব। দাদা, প্রাতকার্যে হালকা হতে ব্যস্ত, তাই বৌদি আমাকে একটু বসতে বললে। আমি বসে, হতে দৈনিক পত্রিকা। আমার যখন পত্রিকার পাতায় এসএসসি প্রার্থীরা আন্দোলনের 750 দিন পার করেছে, ঠিক তখনই মলয়দার বউ তাদের 1 বছরের বাচ্ছা টাকে খাওয়াতে খাওয়াতে সামনের সোফায় বসলো। ছেলে সে তো কিছুতেই খাবে না, আর মা তো মা-ই, ছাড়বে কেনো...! বলে, " ওয় কাকু এসেছে ..! এখুনি ধরে নিয়ে যাবে তোকে! খেয়ে নে তাড়াতাড়ি! নাহলেই বলে দেবো, নিয়ে চলে যাবে। কাকু খুব রাগী, ধরে নিয়ে গিয়ে বেধে রেখে দেবে একদম! " ছেলে আমার দিকে হাঁ করে দেখলো, আমি একটু হাসলাম মুখ টিপে... আর তার মা, অমনি ছেলের খোলা মুখ পেয়ে যতটা খাবারের মন্ড যায়, তার থেকেও বেশি ছেলের মুখের ভেতর ঠেসে ঢুকিয়ে দিলো... মাইরি! সত্যি বলতে বৌদির ছেলে খাওয়ানোর টেকনিকে আমিও হাঁ , তবে আমার মুখ আমার দুহাতে চাপা ছিল। ছেলে ততক্ষনে কী করবে না করবে ভেবে না পেয়ে, অর্ধেক খাবার মন্ড গিলে, অর্ধেক ফেলে , বিষম খেতে খেতে চিল চেচানো শুরু করে দিয়েছে। মলয়দা ভেতর থেকেই ডাক দিল, " কী হলো গো...! এত্ত কাদঁছে কেনো ছেলে টা!!?" বৌদি বলে ওঠে, " ঔ পাশের বাড়ির 'পচা' গো, ওকে দেখেই আমাদের ছেলেটা চেচাচ্ছে, ও কিছু না।" আমি তো অবাক! য ব্বাবা..! আমি মাঝে খলনায়ক! ভাবছি, " শুধু ছেলের কাছেই ভিলেন বানিয়ে এই মহিলা খুশি নয়, ছেলের বাপের কাছেও আমাকে বদনাম করে দিলো। ছেলেটার যে দম আটকে যাওয়া দেখে আমি নিজে আঁতকে উঠেছি সেটা উহ্যই থাক। তা, আমি তো আমার মুখ বন্ধ করে ঢোকগিলে প্যাঁচার মতো বসে। ছেলেটা খুব কাঁদছে দেখে ভয়ে ভয়ে বৌদিকে বললাম, " আমি একটু বাইরে আছি বৌদি , দাদাকে বলে দিও।" বৌদি হেসে বলে, " আরে দাড়াও দাড়াও....! ভাই, তুমি কোথায় যাচ্ছ? একবার ছেলেটাকে ধরতে হবে তোমায়, তোমাদের জন্য চা টা বসাই । দেখো না তোমার দাদার কাজ, ছেলে টা কাদঁছে শুনতে পাচ্ছে না, সে চেম্বার খুঁড়ে পায়খানা করছে যেনো, একবার ঢুকলে হয়, 1 ঘণ্টা ধরে বসেই থাকে, ভেতরে বসে কীকরে কী জানি বাবা! ” আমি কিছু বলার আগেই ছেলেকে আমায় ধরিয়ে দিল বৌদি। এখন ওদের ছেলে, আমার কোলে। মনে হচ্ছে সকাল বেলা প্রতিবেশীর ছেলে মানুষ করতে এসেছি। বাচ্ছাটা আমার কোলে চুপকরে গেলো একদম... আমি একটু সাহস করে হাসলাম বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যে বৌদি চা বিস্কুট এনে হাজির। হাসি মুখে আমার সামনে চা-টা টাবিলে রেখে দিয়ে, ছেলেকে নিজের কোলে নিল। আমি একটু স্বস্তি অনুভব করে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিলাম। বৌদি কিন্তু পাশের সোফায় ছেলের খাওয়া নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ছেলে কিন্তু অগ্রিম বিপদ বুঝে ঘ্যান ঘ্যাণ করতে শুরু করে দিয়েছিলো। আমি একটা বিস্কুট দিতে গেলাম ছেলেটিকে , সে বেশ হাত টা বাড়িয়েই ছিল। কিন্তু তখনই বৌদি ছেলের হাতটা সরিয়ে নিয়ে  আচমকা বলে উঠলো, " আরে না না! সকালবেলা চা বিস্কুট ভালো ছেলেদের খেতে নেই বাবা, ও গুলো যারা খায় তারা ভালো নয়, তারা বদমাশ। সোনা আমার, এই কাকুও খুব বদমাশ, ওটা ' পচা ' কাকু, একদম 'পচা'।" আমি সবে একটা কামড় দিয়েছিলাম, অর্ধেক বিস্কুট আমার মুখেই থেকে গেলো আর বাকি টা খাবো কী ভাবে তাই ভাবছি। ছেলে আবারও ”ভ্যা...!” করে... চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠে একবার। মলয়দাও ভেতর থেকে বলে, " কী গো...! কী হলো গো ছেলেটার...! বৌদিও উত্তর দেয়, " ওই তো তোমাদের ' পচা ' গো, ওকে দেখেই কাদঁছে, ও কিছু না...!" এটা শুনে বিস্কুট গেলো আমার গলায় আটকে,  এবার আমার নিজের বিষম লাগলো। খুব কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে দেখি চোখে আমার জল, আর মনে মনে কাদঁছি, "মলয়দা গো আমাকে বাঁচাও তুমি, দয়াকরে বের হও, আমাকে কেনো আসতে বললে গো তোমার বাড়ী?" ইতি মধ্যে পিঠে তাল পড়ার মতো দমাস..! দমাস..! করে দুটো শব্দ... দেখি  ছেলের মুখ একদম হ্যাঁ, আর মুখে সেই মন্ড ঠাসা, ছেলে প্রায় আটকে গেলো গেলো দেখে মনে হলো...! একদম ককিয়ে উঠেই দমটা নিয়ে ছেলে যেই না দ্বিতীয় বার চিল চেচানি চেচালো পিঠে আর একটা ' দমাস্ ' করে ঘা! গোটা ঘর ছেলের কান ফাটানো কান্নার চিৎকারে কেপে উঠলো যেন...! তৎক্ষণাৎ, চায়ের কাপ রেখে আমি   দিলাম ছুট...! মলয়দা ততক্ষনে বেরিয়ে, ডাক দিচ্ছে, " ' পচা '...! ওই ' পচা...! ' কোথায় যাস শোন শোন...! আরে চা বিস্কুট টা শেষ করে যা...! কোথায় যাস!" আমি পেছন ফিরে চেচালাম, " মলয়দা...! আমি ভালো ছেলে গো...!, আমি ' পচা ' নয়...!, আমি সকাল বেলা একদম চা বিস্কুট খাই না...!”  ( সমাপ্ত )

Sunday, February 5, 2023

নিত্যানন্দে নিত্যদিন










স্কুলের নাম নিত্যানন্দ 

     আনন্দটাই মূল,

ক্লাসে গিয়ে দেখি বসে সব

 ভবিষ্যতের ফুল।


হাসিরা সব আপন হলো

 অনুভূতির মাঝে 

 জীবন যেন সেজে আছে  

 নব অভিজ্ঞতার সাজে।


 সময় আছে, এখন তবে

      একে একে বলি,

 ক্লাসের সংখ্যা বেশি হলেই 

  তেলে বেগুনে জ্বলি।


 লোকনাথ যে যোগী মানুষ

       নিজের মতেই চলে,

   পৃথ্বীকে সেই যতই বলি 

আসবে সে প্রার্থনা শেষ হলে।


 সৌম্য এসে তালা খোলায়

      বাকিরা তবেই ঢুকি,

 সবার শেষে কোয়েল ম্যাডাম

       মেরে দিয়ে যায় উঁকি।


 সুরভি সাদা ঘিয়ের মতোই

      পুতুল সেজে আসে,

  নিকিতা তার দিনটা বেশি

         কাটায় মেট্রো ও বাসে।


 সুপ্রিয়া তার মেয়েকে রেখে

        আসে মায়ের মতই,

   মনটা তার মেয়ের কাছেই

      ক্লাস সে করুক যতই।


 হাসিনা ওই দুই-একদিন 

      হেসে দিয়ে গেলো,

  তারপর তার চিরদিনের

          কামাই শুরু হলো।


  সবার মাঝে প্রীতম শুধু

       একাই বাচ্ছা ছেলে,

   নায়ক সে তো সবার মনে

      শুধুই ক্রিকেট খেলে।


  ঠোঁটের নিচে তিলটা নিয়ে 

      চন্দ্রিমা যায় ক্লাসে

   তাকে দেখে ছাত্ররা সব

        মুচকি হাসি হাসে।


   খাতা নিয়ে সেই সারাক্ষন

       ধৃতি বসেই থাকে,

    কামাই করার কারণ

     অন্যের পাক্কা হিসেব রাখে।


   সবার যখন হলো 

  তবে আমিই কেনো বাদ,

  বলো এবার, মিটেছে তো...

     ওই পাঁপড় খাওয়ার স্বাদ?


  একটা কথা শেষ বেলাতে

          না বললেই নয়, 

  থাকি যদি এক ডোরেতে

        আমরা করবো জয়।


                                        নমস্কার... 🙏


           


              


  




    


    


 

Sunday, January 29, 2023

না-বোঝার বোঝা

 



ফুলের ভাষা আর জীবনের পথ

আলাদাই থেকেছে বরাবর...

মনের চাহিদা মনের মনে পড়েনা

জীবনের বোঝা জীবন বোঝেই না...

এত কিছু না বোঝার বোঝাগুলোয়

জীবন যেনো দুমড়ে মুচরে কুঁজো 

এই ভারের স্বাদ পেয়েছে, এই দিবাকর

তাই, ফুলের ভাষা আর জীবনের পথ

আলাদাই থেকেছে বরাবর...


                               সোমনাথ...






Wednesday, November 30, 2022

ভালো থেকো...💞🌼



 

ভালো থেকো...


কী ভাবছো...? নিজেকে রেখেছ যে আনমনে

হয়তো বা আপন কাউকে গোপন করছ... করো... তোমার গোপন অধিকারে অধিকার ফলাতে চাইবো না...

যখন গালে হাত রেখে বসো, ওই আলতো হাসি তোমার গালে হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়... 

ঠিক যখন একই ভাবে কোনো দুঃখ গোপন করো, কৃত্রিম হাসির চাদরে নিজের মুখ ঢাকো... ভাবো কিছু বুঝিনা? 

জানো? হাঁটছি যখন রাস্তায় একা... বেখেয়ালে আসো তুমি, পাশে নয়... মনে। মূহুর্তে রাজ করতে থাকো ...আদেশ যা কিছু পাই, পাইনা লজ্জা মাথা পেতে নিতে তখন।

আর বলি, গোপনে অসুস্থ হতে চাও কেনো বলতো? এটা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার প্রবণতা তোমার! এটা জঘন্য... তখন আমাকে মনে পড়ে না তোমার?

এমনিতে সকল কে সাথে না নিয়ে তোমার একটা সূর্যও অস্ত যায় না। মতলব টা কী তোমার? 

এই ভাবে হয়না, তোমার ইচ্ছামত যখন তখন অসুস্থ হতে পারবে না তুমি, এই বলে দিলাম...

কখনো তো দেখিনি তোমায় নিজের কষ্টের বোঝা আমার সিন্দুকে রাখতে? ভয় পাও বুঝি...? যদি চুরি করে নিয়ে যাই? ওটা পারলে একটু ভাগ করে নিও... ঠিক যেমন তোমার হাতের তৈরী অমৃতের ভাগ পাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার...

হ্যাঁ, একটু ভাগ করে নিও...🙏


Monday, November 28, 2022

চোখে দেখা 🧐




আমরা চোখ দিয়ে দেখি। 

না, কোনো ভুল হয়তো নেই চোখ দিয়ে দেখায়

কিন্তু ভুল একটা হয়, 

কারণ আমরা শুধু চোখ দিয়েই দেখি

আমরা অনুভব করে দেখি না... আমরা, 

একটু  ভেবে দেখিনা... 

একটু পাশে বসে, একটু হতে হাত রেখে বা পাশাপাশি দুই - পা হেঁটে দেখি না আমরা একটু ভালবেসেও দেখি না... 

আমরা বিশ্বাস করে তো দেখিই না ছাড়ো, একটু তাকিয়ে হেসেও দেখি না।

আমরা শুধুই  চোখ দিয়ে দেখি... 

চোখে পড়লে তবেই দেখি, 

চোখে লাগলে তবেই দেখি। 

আমরা শুধুই চোখে চোখে দেখি...

আমরা শুধুই  চোখেমুখে দেখি।

আমরা সর্বদা কথা বলতেই দেখি

আমরা ক‌ই কথা শুনতে কাউকে কেন দেখিনা

আমরা চোখে দেখি, 

তবু চোখের জল দেখিনা,  

আর দেখলেও... 

চোখের জল দেখলেও, সেটা সস্নেহে মুছিয়ে দিতে দেখি না... 

আমরা শুধুই চোখ দিয়ে দেখি।

আমরা ওই চোখের দেখা দেখি, 

কই মনের চোখে তো দেখি না।

Sunday, November 27, 2022

Be-head-জীবন 🤣😂


 *Be-head-জীবন* 🤣😂

জাটি গেছে দাদুর কাছে💏
লোকু গেছে হাটে👳
পূজা গেছে পুজো করতে👸
সুরো ছোটে মাঠে...🏃🏃

সুইট দিব্যি বিয়ে বাড়িতে👰
পৃথ্বী করে অফিস👩‍💻
প্রীতম খালি খেলা দেখে⛹️
কুণাল কোথাও হাফিস...🤔

সায়ন্তি সেই দূর পুরীতে🌊
মুখে নিয়ে হাসি😁
আনন্দতে দাদুর মাথায়💆
চিকু করে হিসি...💧☔🤣

ঈশার মনে কিসের রাগ☹️
প্রভুই স্বয়ম জানেন🎅
সহেলি কেনো ভুলে গেলো😦
সুপর্ণা কি বলতে পারেন?🤷

দেখো দেখো এইতো রিমা🧐
কেমন মুচকি হাসি🤗
ডিমটা গিলে অর্ণব বলে,🙋
" আমি নিরামিষাশী..!"🤣

 ব্যস্ত মানুষ অয়ন নাহয়🙇
কিন্তু সায়নি কোথায় আজ?🤔
আমি শুধু সবার মাঝে 
একটাই আড্ডাবাজ...!🤸

Saturday, November 26, 2022

টিফিনবক্স 💞

 



টিফিনবক্স 💞


এক অদ্ভুত আনন্দ হয় যখন দেখি কলেজে আমার টিফিনটা আমার ব্যাগ থেকে সাময়িক খোয়া যায় , বা কখনো আস্ত টিফিনটা ব্যাগে থাকলেও সেটা ওজনে হালকা হয়েযায়। সেখানে শুধুই কি কিছু খাবারই থাকে? না। থাকে অনেক আবেগের সরবত, মায়েদের স্নেহ ও ভালোবাসায় প্রস্তুত সুস্বাদু মমতার ব্যঞ্জন। মায়েদের শাড়ির আঁচলে কপালের ঘাম মিশতে হয় আর সাথে মিলেমিশে এক হয়েযাই আমরাও। সহপাঠী বন্ধুরাও কোনো এক অদৃশ্য আঁচলে যেন বাঁধাপরি সকলে। কারো ভালোলাগে একটু ঝাল, কারো বা মিষ্টি, কারো একটু নুন। সত্যি বলতে আমাদের ভালোলাগে এই বক্সের মধ্যে সকলে এক‌ইসাথে থাকতে। করো মনে একটু নুনের ভাগ বেশি থাকলেও আমরা তাতে মিষ্টি দিয়ে নেব। মনে ঝাল থাকতেই পারে, ক্ষতি কি? জল আছে তো, খেয়ে নেব।  কারো ভালো লাগে শুকনো মুড়ি, কারো বা একটু বেশি আলু। কেউ কেউ তো আলুর ঝোলে সাঁতরাতে ভালোবাসে। আসলে বৈচিত্রে ভরা নক্ষত্রের মতো এই বাক্সগুলোই আবেগের কেন্দ্রবিন্দু, যেটার মাধ্যাকর্ষণে আমারা  গ্রহরূপে  বাঁধাপড়েছি সকলে। যেমনই পাওয়া তেমনই খাওয়া,  তারপর কার ওড়নায় গোপনে হাত ও অন্যকারো রুমালে মুখ মুছে নেওয়া সে সবের ঠিকানা নেই। অবশ্য কেউ যদি কখনো ওই রুমালে মুখ মুছতে গিয়েই চাঁদ দেখেফেলে থাকে, তবে সেই চাঁদ কিন্তু  ওই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের স্বীকার হয়েছে। যাইহোক কখন সেখানে পূর্ণিমা , আবার কখন সেখানে অমাবস্যা আসে সেইখবর পাইনা বাটে। তবে জানি যে, সেখানে কিন্তু ক্রমশ উপগ্রহবলয় গড়ে উঠেছে। আর সেইসব গোপন কথা সকলের জেনে কীই বা লাভ...? আমরাও তাদের সেই বন্ধনের ইতিবাচক স্বপ্ন দেখছি🥰। কবে যে সুখবর পাব কে জানে...? আপাতত চলো, সবাই একসাথে টিফিন খাওয়া যাক...


তাহলে কবে আবার তোমরা টিফিন আনবে?🥰🥰🥰🥰

Thursday, November 24, 2022

শ্রদ্ধেয় ভালোবাসা💞🌼






আমার শুভাকাঙ্খী ব্যক্তি বর্গ আমাকে  ভালোবাসেন।  এটা যে আমার কোনো দূর্বল বিশ্বাস সেটা নয়, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর তাই এই দৃঢ়তার সঙ্গেই বলছি, হতে পারে জিবনে আমি তাঁদের অনেকের জন্য কিছুই করতে পারবো না, তাঁরাও হয়ত আমার জন্য তাঁদের কাঙ্ক্ষিত কিছুই করতে পারবেন না, হতে পারে তাঁদের জিবনে আমার সাথে একটু সময় বিনিময় করার মত সময়ও অবশিষ্ট থাকেনা। কিন্তু তার জন্যে এই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসার কিছুমাত্র ক্ষতি হয় না বলেই আমি মনে করি। তাঁদের আশীর্বাদ সর্বদা অনুভব যোগ্য। তেমনি তাঁদের পরিস্থিতি ও সীমাবদ্ধতাগুলিও একমাত্র অনুভব যোগ্য, তাই তাঁরা সেগুলির বিবরণ শব্দে কাউকে প্রকাশ করার থেকে এমন কাউকে প্রত্যাশা করেন যে ব্যক্তি তাঁদের পরিস্থিতি বা  সীমাবদ্ধতাগুলি অনুভব করে নিতে পারেন। এই প্রত্যাশা, এই অনুভব করিয়ে নেওয়ার আকাঙ্খা, এটাও তো ভালবাসাই একরকম। না, ভুল বললাম... এটাও না, কথাটা হোক "এটাই ভালোবাসা "...🙏😌

Tuesday, November 22, 2022

বিশ্বাস করি। মন থেকে?




"বিশ্বাস করি” বলা... মানে আলাদা করে উল্লেখ করার দরকার নেই যে সেটা ' মন থেকে' । এটা শব্দের অর্থহীন প্রয়োগ বা গভীর আবেগের অর্থহীন প্রকাশ মাত্র। আবার ' বিশ্বাস ' শব্দটার প্রতি কোথাও একটু অবমাননাকর‌ও বটে...। তাই যাকে বিশ্বাস করা হয় তাকে মন থেকেই করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক একব্যক্তির দুই বন্ধু। একদিন সে তাদের একসাথে ডাকল। ব্যক্তির সামনে তারা আসার পর সে, তাদের একে অন্যকে শুনিয়ে, একজনকে বলল, " তোমায় আমি মন থেকে বিশ্বাস করি,।" আর একজনকে বলল , " তোমায় আমি শুধু বিশ্বাস করি।" বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়... আর লক্ষণীয় যেটা তাহল দুই ক্ষেত্রেই বক্তার ' বিশ্বাস ' নেই। তেমনি শ্রদ্ধা করা, ভালোবাসা, ক্ষমা চাওয়া বা করা, ঘৃণা করা ইত্যাদি সকল বিমূর্ত ভাব গুলির প্রকাশের আগে অযথা অর্থহীন শব্দ না ব্যবহার করাই ভাষা বা ওই ব্যবহৃত শব্দের প্রতি সুবিচার করবে।

Thursday, November 17, 2022

প্রেম💞




"পুরনো প্রেম অনেকটা সেই অতীতে শোনা কখনো কোনো গানের মতো... যার ভাষা মনে না পড়লেও সুরটি মনের মধ্যে ঠিকই গুনগুন করতে থাকে...🎶🎶🎶"


||...রানা...||

Wednesday, November 16, 2022

জীবন বড়ো জটিল




জীবন জানে, তার পথ নির্জন, তাই দুর্গমও । পাথেয় যাকিছু সে'তো পথেই। ধন্দ্ব যা কিছু সেটা মনে... "কিছু ' বলা ' বা ' না বলা ' কি অপরাধ ? নাকি স্বাধীনতা...? পথনির্জন বলেই দুর্গম, নাকি দুর্গম বলেই নির্জন ? জানা নেই...। আবেগের স্বপ্ন কল্পনা...পাল, আর আবেগের ঘা বাস্তব...সেটা হাল। এই কাল্পনিক পালে হওয়া লাগিয়ে বাস্তবের হাল ধরে রাখতে হয়, তবেই জীবন তরী ভাসবে...। ঝড়, সেতো আসবেই..! আকাশবাণীর কাছে সে পরাধীন নয়। আর যদি জীবন টাই একটা ঝড় হয় তবে সেও স্বাধীন কই? এই পরাধীন জিবনে অনিয়ন্ত্রিত ঝড়, সেও তো নিজেই নিয়ন্ত্রণহীন বাতাসের অনুগামী... সেই বাতাস... যে এই পরাধীন জীবনের পালে হওয়া দেয়। তাই না? তাহলে নিয়ন্ত্রণ কোথায়???

                                                ||...রানা...||

Wednesday, October 19, 2022

The light of life





 The light of life


The sky, like fortune, is beautifully smiling with its stars on the face of Nasim. Particularly in a secret place close to the "Mathkotha" of their hut, that night, he secretly managed to find a place on the tiled roof of their hut inside of which his mother, Parvati and his four-year-old sister, Naurin, are supposed to have a sleep. Inside there is also a newly married framed photo of Parvati and Rahamat, husband of hers, hung over one of the wall. It is a cold night in December but eight years old Nasim has no other options left but to take a shelter to hide himself to avoid getting beaten by his mother. He missed his classes in school, then lunch, ( mid-day meals) again tuitions he would have attended but he roamed around outside all day leaving his mother anxious each second spent. For Parvati, life has been an ordeal she is still having to undergo. She has always been a mixture of both brave and romantic throughout her life as of now. Her love, Rahamat, made her lonely as well as alone. The man who once made a promise of always being stood behind, beside in all the odds and goods as well couldn't but to succumb to Covid. Now she is following her way on her own with her two kids to lead her life and making them learn how to sail life boat in spite of a victim of intercaste marriage, and of loosing identity in so-called society. Having found no community kind enough to impart them place as well as space in the village she left home as her own parents too shut the doors on her face. The thought of her suicidal attempt sometimes prevails but falls often weaker than the sweet smiling faces and the stumbling words from the two unfortunates she is mothering. She has a dream she dreams anew. She wants her kids to get formal education from schools and to make it true she works restlessly as a maidservant in some houses. In course of their daily routine most of the time of a day she has to spend outside of their house leaving her daughter, Naurin sitting outside of the house inside of which she is engaged at the moment. But Nasim takes due advantages of his mother's absence through out the day. He runs cycle, jumps into the pond, gets drenched, bunks classes and tuitions, plays with friends and sometimes even remains unbathed all day. Today he spent all day with his friends cycling on road and it was only when the sun got red in the west and the sky partially dark that he returned home like a haunting cat.  Parvati was awaiting the situation and prepared for his coming. Nasim already had an idea of what he might face just after his entry into the house, so he too took some lies as precausions to get saved from thrashing by her Mother. By the way he is sure to not have dinner tonight. And having been not allowed inside he is having to find out a secret and suitable place for spending the night on the tiles of their hut itself. Sometimes he fakes injuries in his own chosen body parts and bunks school. Today he has laboured to climb the tiles if only because he knows there often roam jackels around their house. Otherwise he could have spent the night in " the Daoa". Outskirts of the village is their house around which there is no road to get an easy access to it. It centers some bushes that make it completely separate as well as hidden from the eyes of the villagers. An area outside of which being used as landfills, better to say, the dustbin of the village. Their house comes not within but adjacent to it and that is why sometimes, those left  carcasses invite jackles outside their house.  With all their daily struggle, footmarks have been left to ensure to the passerbys that a family is there. Water is often clogged whenever there is raining leaving this poor family in more distress to reach out to their home. It provides an opportunity for Nasim to float paper-made boats on it. 


Next day Parvati is to go through her daily duty and Nasim is to do his as well. But it is 5 O'clock and he is still asleep on the tiles. Parvati wakes up, takes bath and completes their cooking too. Now, She has to go out leaving the hut under Nasim who is, by this time, to be woken up and be seated and keep noticing her mother's each and every foot there. Parvati, without giving even a call for Nasim left the hut under him. The boy is now all set to do whatever he wants to once again. Study doesn't attract him that much, rather he likes spending fishing for hours. So, he does the same. But today is not his as no fish gets attracted to the bait given to the fishing pole he was fishing with. He enters the hut and lays for some time. But as he feels hungry he decides to go to school today. He has nothing to do with the classes going on but the Mead day meals provided to the students. There is a notice on the notice board today and that is the school will remain closed for 24 days for Durga Puja ahead. So, from now on  he has much time to spend with friends. From his friends among other stories he has also listened that Goddess Durga, known as Parvati got married to God Shiva. At night before going to bed when he asks his mother, Parvati, " Who is The GOD Shiva?" Pointing towards the frame hung on the wall he says, " Parvati and Shiva..." He smiles...  At midnight when both brother and sister fall asleep a drop of silent tears from Parvati falls... She leaves a long sigh behind the fringe of her Shari...

সাহিত্য



সাহিত্য যত্ন করে ডাকে, 

ভালোবাসে...আদর করে,

আশ্রয় দেয়... 

সংবিধানের 19, 20 ও 21 ছাপিয়ে বান ডাকে ,

বাঁচতে শেখায়... 

দেখায় একাকী পথ চলার পথ...

অতীতকে ভালোবেসে

ভবিষ্যতে পা ফেলার ভরসায় বর্ষা নামুক,

ছাতাটা? ভুলেছি বাড়িতে...

একটু কাকভেজা হলেও ক্ষতি নেই,

সঙ্গে ভিজবে কথা দেওয়া কেউ? 

না থাক

বাড়ি পৌঁছবো ঠিকই

পিছু ডাকবে না কেউ...


Monday, May 30, 2022

শুভ কামনা...💞🌼🙏😌

 



জনে জনে... মনে আগমনী, প্রাণে আগমনী, গানে আগমনী... এই আগমনী পরিবেশে সকল কে জানাই সুস্বাগতম...! এই শারদ বেলায় আমরা সবাই একত্রিত, চলবো একসাথে, বলবোও একসাথে... বলবো, " এসো আমরা সকলে সামনের কিছুটা পথ ভাগ করে নিই নিজেদের মধ্যে, ভাগ করে নিই নিজেদের অনুভব, আনন্দ , সুখ - দুঃখ , ব্যথা ও বেদনা। " এই শরৎ পরিবেশে নীল আকাশে সাদা তুলোর বালিশ ফাটানো উজ্জ্বল মেঘে ঘুমিয়ে পড়া যায়, যায় কিছুটা পথ পাখিদের মত ভেসে বেড়ানো। ফুল ফুটেছে,    ' কাশ '। ওই যে নদীর পাড়ে, ধারে ধারে... বার্তা আবারও সুখবরের, আনন্দের, স্নেহের ও ভালোবাসার, প্রীতি ও শুভেচ্ছার। এই বার্তা বিজয়ী ঘোষণার! হেরেছে কভিড, জিতেছি আমরা। প্রয়োজন হারায়, হারায় না প্রিয়জন। হ্যাঁ, হারিয়েছি... তবু হার মানিনি । বাধা আসবে, আসবে বিঘ্ন... এটাই সৃষ্টি , সৃষ্টির ইতিহাস। কিন্তু থামেনি সময় , থামেনি আগমন শুভ খনের । তাই তো আজ নতুন সাজে, নতুন ভাবে উপস্থিত এই আগমনী বেলা আবারও একবার। এই বেলা শোনায় শুভ মুহুর্তের ঘণ্টা ধ্বনি, সাথে ঢাকের উপর কাঠি... সেই ছন্দে আমরা সবাই কাশের বনে হাঁটি। আসছেন মা। দিকে দিকে বেজে উঠুক মায়ের পদধ্বনি। এই বেলা গড়িয়ে অবেলা আসুক। দিয়ে যাক আবারও একবার ভবিষ্যৎ ' আগমনী ডাক '।  আবারও নতুন বেলায়, নতুন সাজে সজ্জিত নতুন পরিবেশে, ভরে উঠুক নতুন প্রাণে আমাদের এই প্রাঙ্গণ। অনুরোধ একটাই, নিজেকে কগজে কলমে বেঁধে না রেখে বাড়াও হাত ও হৃদয়, গড়ো আত্মিক মেলবন্ধন। নাও সহযোগিতা, সহানুভূতি ও সম্মিলিত শুভ উদ্যোগের শপথ। অন্তিমে, সকলকে জানাই শারদীয় প্রীতি , শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। সবাই সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন। 🙏😌 


Offline নাকি Online?


 Offline নাকি Online?


সে     : ভালোবাসো আমাকে?

আমি : হ্যাঁ...

সে     : তাহলে পরীক্ষা দাও...

আমি : অফ লাইন না অন লাইন?

সে     : আমার বাবাকে অফলাইনে দেখা করে

           আমাদের সম্পর্কের কথা টা জানাবে ।    

আমি : মানে বলছিলাম কী, যদি অনলাইনে 

           বলি, অসুবিধা আছে?

সে     : যাও! তাহলে অনলাইন ভালোবাসো

           আর বিয়েটাও অনলাইন হবে আর 

           ফুল সজ্জাও অনলাইনেই হবে!

আমি  : অফলাইনে বললেই তো জুতো পেটা 

            করবে আমাকে তোমার বাবা, আমি 

            তো বেকার একজন।

সে     :  আমাকে তাহলে ভুলে যাও, বাবা 

            আমার জন্য একটা সুপাত্র দেখেছে ।

আমি : অফলাইন নাকি অনলাইন?

সে    :   যাও আজ থেকে আমাদের 

            ব্রেক আপ!

আমি : না, মানে অনলাইন নাকি অফলাইন?

সে     : জুতো খেয়েছ?

আমি : অফলাইনে খাইনি না অনলাইনে 

           দেবে নাকি?

সে     : এই তোমার সাথে বকে লাভ নেই...

           আমি অফলাইন হলাম, আর আমার 

           বিয়ের কার্ড পাঠিয়ে দেবো অনলাইনে

আমি : আরে শুনে যাও, খাওয়া দাওয়া টা?

          ওটা অফলাইন না অনলাইনে ব্যবস্থা 

          আছে কিছু..?  এই মাঝখান থেকে 

          কথা না বলে চলে যাওয়া টা একদম 

          ভালো না , এটা অনলাইন, ব্যাপারটা

          বোঝার আছে।

সে    : এবার কিন্তু তোমার বাড়িতে গিয়ে

          অফলাইনে জুতোপেটা করে আসবো 

          বলেদিলাম!

আমি : না না, আমি অফলাইন হলাম, তুমি

            শান্ত হও...💆

Monday, May 23, 2022

নির্যাতিতা




প্রতিদিনের দৈনিক পত্রিকা গুলির প্রায় এক রকম অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে তাদের স্ব স্ব পত্রিকায় এক বা একাধিক ধর্ষনের ঘটনার  উল্লেখ করা। আর সেখানে যদি কোনো রাজনৈতিক সুগন্ধী দ্রব্য কিছুর সন্ধান থাকে তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। বেশ কয়েক মাসের খোরাক ওখান থেকেই নিশ্চিত করে ফেলা যায় আর কি। দোষ নেবেন না, আমি তাদের কোনরূপ ত্রুটির কথা বলছিনা। বেশ কিছু পত্রিকার সাংবাদিকতা এবং অধিকাংশেরই সম্পাদকীয় কলম গুলি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব সহযোগে পাঠ করেন এমন পাঠকের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয় কিন্তু তুলনায় অতি নগণ্য।

 

 লক্ষণীয় যেটা, তা হল অনভিপ্রেত ঘটনাগুলির নৃশংতায় ঘটনাটির প্রকৃত প্রতিকার করার স্বাভাবিক মানসিকতাই হারাতে বসেছি আমরা। নির্যাতন বিরোধী কোনো মন্তব্য করার পরিবর্তে ভবিষ্যৎ নির্যাতনকাীদের কাছে  অভাগা নির্যাতিতার নির্যাতনের সময়কালীন দানবীয় অমানুষিক তুলনামূলক লঘু যন্ত্রণা স্বীকারের প্রার্থনাই আমাদের কাছে শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে। আশ্চর্য! 

 

অবশ্য আধুনিক নারীদের বেশভূষা নিয়েও অনেক অভিজ্ঞ বাগ্মী দের প্রশ্নের সাক্ষাৎকার পড়েছি। যারা বলছেন তারা নিজেরাও জানেনা যে , তারা অচেতন ভাবেই নারী শরীরের প্রতি তাদের বস্তুগত দুর্বলতা প্রকাশ করছেন , আর শুধু তাই নয় , সেই দূর্বলতা নিবারণ করার কোনো সদিচ্ছাই তাদের মধ্যে নেই সেটাও স্পষ্ট ! কেনো যে এগুলি পত্রপত্রিকার পাতায় জায়গা পায় জানিনা।


 ওনারা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন , যে শিকল আর পর্দার সুকৌশলী ব্যবহারে নারীদের আবদ্ধ রাখতে তারা কোনো এক কালে সমর্থ হয়েছেন, আজ ঐ বাঁধন আর আবরণ গুলি সব দুর্বল হয়ে পড়েছে তাদের কাছে! আজ এই নারী পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি শক্তশালী যোগ্যতার বলে! সাম্প্রতিক " নীর্ভয়া" তাদের ভয় শেষ করেছে...! 

 

মজার বিষয় হল, ঐ  পত্রিকার পাতাতেই কখনো সখনো বিদ্যুৎ চমকের মত কিছু মহীয়সিদের দেখি যারা বাস চালক, আবার কেউ কেউ তো এমন ভালো লাঙল চালায় যে তাদের বাবাদের বলদের অভাবটাই মিটিয়ে দিতে পারে! 


একজন তো দেখলাম ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছে তার অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে , না অসুস্থ হতে হয়নি তাকে।


 আমি তো দীর্ঘ অপেক্ষায় আছি পত্রিকার পাতায় ট্রাক চালদের জায়গায় বেশ কিছু সাহসিনী দের দেখবো বলে। খেলার মাঠে, কুস্তির আখরায়, অলিম্পিক থেকে শুরু করে পড়াশোনা... কোথায় নেই তারা!

 

 তবে, সকল বেসরকারী বহুজাতিক কোম্পানি গুলি বেশ ভালই জানে আধুনিক নারীদের প্রকৃত আসনটির মর্যাদা। কলসেন্টার থেকে ঠিক বিপরত লিঙ্গের সুশোভন গলার আওয়াজ ই আমরা শুনতে অভ্যস্ত। যেকোনো শহুরে বেসরকারী সংস্থায় রিসেপশন এর আসনে কিন্তু মহিলারাই বিদ্যমান আজও। বিমান পরিষেবা গুলিতে পুরুষ এয়ারহস্ট সংখ্যায় অতি নগণ্য। 

 

শার্ল ঠুকরাল এর নাম মনে আসে, প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি বিমান চালিয়েছেন। কোথায় নেই? হ্যাঁ পুরুষের বিশ্বাসে নেই, হয়ত তাদের ঈর্ষার স্বীকার । 


কতদিন কতজনের লাশ নিভৃতে পুড়িয়ে নিজেদের পাখি পড়াতে থাকবে এই সমাজ? কাউকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি? আবার সেও যদি কোনো নেতা মাথার ছেলে হয় তো শাস্তি উহ্য সেখানে...


 পুরুষতান্ত্রিকতা র বেড়াজাল টপকে একজন নারীকে তার যোগ্য মর্যাদার অধিকারিণী ভাবাটা খুব একটা সহজ কাজ তো নয়! ভোগ্যপণ্য আর নারী যেন পুরুষের কাছে সমান অধিকার দাবিকরে থাকে এই সমাজে , আর এটাই যেন বহাল রাখা হয় সেই সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও নিশ্চিত করা।  


সংগঠিত ও অসংগঠিত উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের সামাজিক বিদ্যমানতা অত্যধিক আবশ্যিক যদি আমরা একান্তই ওই অনভিপ্রেত ঘটনাগুলির ভবিষ্যৎ বীজ গুলো নষ্ট করার পক্ষপাতি হয়েথাকি! এর সাথে যুক্ত হতে হবে উপযুক্ত পারিবারিক শিক্ষা যেটা কিনা অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা নারীদের ঘরবন্দী করে ঘরের বাইরে তাদের যোগ্য মর্যাদা দাবি করতে পারিনা! তাদের অধিকার দাবিকরার অধিকার তাদের হাতেই থাক! নারীদের সংখ্যাধিক্ সামাজিক উপস্থিতি ই পারে তাদেরকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুদৃষ্টির বাইরে নিয়ে আসতে। 


শিশুকাল থেকে পথ চলতে চলতে একটা সময় আমরা শারীরিক ভাবে প্রকৃত সচেতন হয়ে ওঠার আগেই প্রত্যেকে নারী, পুরুষ হয়ে উঠি। আবির্ভাব ঘটে নারীপুরুষের এক অচেনা পারস্পরিক বস্তুগত আকর্ষণের। এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারির প্রতি বস্তুগত আকর্ষণীয়তা নিবারণের জন্য যেটা প্রাথমিক ও অবশ্য প্রয়োজন তা হলো দুই জাতির মধ্যে এক সামঞ্জস্য পূর্ণ সামাজিক বিদ্যমানতা ও পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান যেটার অভাব এই বর্তমান সমাজে প্রতি পদে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

Sunday, May 22, 2022

মহান মিথ্যা

 



জীবনে সব থেকে বড় যে মিথ্যা কথাটি শিখে ছিলাম , " জীবনে মিথ্যা কথা বলতে নাই।"

কিন্তু, এত দেখি বান ডেকে দিয়েছে মশাই... আর তাতেই ভাসছে সকলে, সবকিছু নিয়ে

ভাব টা এমন, " নিজেরে তো ডুবাইমু, তোরেও ছাড়ুম লাই, তোরও সঙ্গে লইমু।"

যত মিষ্টি করে বলা

নাকি ততই মিষ্টি, গুঁড় একদম...

যাও দেখো গিয়ে, 

তোমার প্রিয় মানুষটিও তোমার মিথ্যা না বলার দক্ষতাকে অদক্ষতাই ভাবছে।

ভাবছে, " এর সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি, একদম যাকে বলে আনাড়ি!" 

আর সত্যিই আনাড়ি, তাই সই

তবে প্রশ্ন একটা রেখে যাই...

"যে মানুষ তোমার বলা কথায় কখনো 'ভেবে দেখে' নাই, সে তোমায় 'দেখে ভাববে' ? তাই?”

Saturday, May 21, 2022

নিবেদিত




ধৈর্য শুধু কি বাসায়?

ভালোবাসায় কেনো দেখি না

শ্রদ্ধেয় মানি মনে, মোটেও

দেখানো বোধ করি না।

ভালোবাসা লোভী? না আমি তা নই,

যখন জীবন তিথি অমাবস্যা

নিঃসঙ্গ হাতে, না হয় রাখলাম

তোমার দেওয়া বই...




আশারাখি




এই পৃথিবীর ভাষা কাঁটা তার...

দাগ কাটবে, ভালোবাসবে যত্নের আঁচড়ে

 যন্ত্রণা আজ ফেসবুক হতে বুকে

ক্ষত? সারবে, আশা রাখো...


ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো আজও আঁধারে

লাজে পল্লাচাপা বর্তমান জানালার মুখ

নতুন সূর্যোদয়ে ভাসে স্মৃতি, 

সুদিন? আসবে , আশা রাখো...


দেওয়া কথা কিছু আছে

নেওয়া কথা কিছু ছিলো...

প্রিয়জন, নাকি প্রয়োজনে

প্রিয়জনের স্টেশন? আসবে, আশা রাখো...


শুধুই আশা রাখো...🌼🙏😌

Tuesday, April 26, 2022

ক্ষমা করো প্রভু...🙏😌



 ধর্ম অবলম্বনে অত্যাচার, মিথ্যাচার, শোষণ ও প্রাণহানির ঘটনার ঝুড়ি ঝুড়ি সাক্ষী ইতিহাস অতীতে থেকেছে। আর যদি সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রাখা যায় দেখা যাবে দেশের বর্তমান অবস্থাতেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটছে না আর না ভবিষ্যতেও আলাদা কিছু ঘটবে বলে মনে হয়। বাস্তবিকই দেখেছি যে, যে সকল ব্যক্তি রাস্তায় নেমে একটু ধম্মকম্ম দেখায়, দেশ সেবা তথা জনকল্যাণ মূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকার ' স্ট্যাটাস ' বহন করেন, সে‌‌ই তাদেরই অধিকাংশকে দেখি প্রয়োজনে অবলীলায় ঘর ও দোকান ভাঙতে ও পোড়াতে। প্রয়োজনে মিথ্যার আশ্রয় ও নিতে হয় তাদেরই। এমনকি সত্য মিথ্যার সংজ্ঞা টাও তাদের নিজস্ব চালাকির ধাঁচে গড়তে চায় তারা। দেখি যে কোনো রাজনৈতিক দল ও কিছু অরাজনৈতিক গোষ্ঠীও ক্রমাগত মহান ও পরোপকারী হওয়ার মোহতে আক্রান্ত। আর এখানে ছিপের বড়শিতে টোপ টা হলো সাধারণ মানুষ... ভাবি এই সাধারণ মানুষদের জন্যই এই এত সকলের পার্থিব ভগবান হয়ে ওঠার যত যুদ্ধ, যত প্রতিদ্বন্দ্বিতা... উপকার করা আসল উদ্দেশ্য নয়, বরং ' এই উপকার করা দেখানো ' এটা একটা ট্রেন্ড হতেই পারে। একটা সামাজিক বিজ্ঞাপনের ইমেজ তৈরি করতে পারলেই যথেষ্ট, যার আড়ালে পণ্যদ্রব্য রুপী সাধারণ মানুষদের মান, সম্মান ও আত্মমর্যাদা লুকিয়ে আছে। এখানে তথাকথিত ওই অপরের জন্য " দেখানো ভাবনার " একটা স্বস্তি আছে বৈকি। এই সাধারণ মানুষদের এই এত দুর্গতি না থাকলে মনে হয়না ওই এই পার্থিব ভগবানগুলি কোনরূপ ভক্তি আরাধনার স্বীকার হতে পারতেন বলে। এখন এই সহজ সত্যটি ওই স্বর্গীয় ভগবান আবিষ্কার করুন , কি না করুন, এই মর্তের সর্বভুক জীবন্ত ভগবান গুলি কিন্তু অনেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলেছিল। তারা বুঝেছিল যে, যদি আরাধনা পেতে হয়, সেই আরাধনা ওই ভেঙে যাওয়া বস্তির, জীর্ণ , ক্লান্ত , অবসন্ন, ক্ষুধিত, রোগাক্রন্ত , দুর্ভাগা ও অসহায় পার্থিব প্রাণীগুলোর মধ্যে থেকেই আসতে হবে, নতুবা  শুধুমাত্র "ঠান্ডা ঘরে " পালিত কতিপয় কোটিপতিদের  ভক্তিতে তাদের অন্ন জুটবেনা। সুতরাং তাই এদের সর্বহারা হতেই হবে না হলে আর উপায় নেই। ভগবানও অসহায়, যিনি নাকি শুধুই দেখেন... কিছু করতে পারেন না, না কোনো শিশুর মাথা আধুনিক অস্ত্র এপার ওপার করে ফেললেও না...! শুনেছি তিনি পরম দয়ালু, দয়ার সাগর, ভুল বললাম , ওটা মহাসাগর হবে... । তাহলে উনি, আশা করা যায়, ওই সকল অত্যাচারী হত্যাকারীদের ক্ষমা করেই দেন যারা কোনো শিশুর মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে পারে বা কারোর যৌনাঙ্গে লোহার রড প্রবেশ করাতে পারে। এখন অত্যাচারিত যারা, তারা নাকি তাদের আগের জনমের করা কোনো কুকর্মের জন্য প্রত্যাশিত ফলাফল লাভ করছে। প্রশ্ন হলো, ধরেই নিলাম তারা খুবই জঘন্য পাপ করে ফেলেছে পূর্ব জনমে, কিন্তু ভগবান যদি এতই ক্ষমাশীল হন, তাহলে ঐ এই জন্মের নিষ্পাপ শিশুগুলোর প্রতি তাঁর এই রূপ ক্ষমা প্রদর্শন? আরে কোথায় কাজে লাগাবেন আপনার ওই দয়ার সাগর? কোথায়? ওই যারা এই ঘৃণ্য কাজ গুলো করে বেড়াচ্ছে তাদের জন্য সযত্নে রেখে দিয়েছেন বুঝি? এটাই প্রশ্ন...

Thursday, April 21, 2022

The aims to be aimed at

 




The result that your plans or actions are intended to achieve is called an aim. There is Swami Vivekananda who has already told what should be called 'the prime aim' in life and his words are here under quotation, " They alone live... Who lives for others..." 


My aim is what my family, my real life, my atmosphere, my surroundings permit or allow me to do or go for. As I see day by day, my duty is gradually getting separated from my aim. I have seen many people cherishing their sought after careers end up with just what their present situation demands them to follow.


 Now I am a student and studying is my prime duty for the time being. Covid-19 has made us learn how to stand unitedly in need. So my aim is to go through hard labour, to be disciplined, to be honest, to be earnest and to follow the truth always. And I do believe there is no single aim in my life, rather I had better have multiple aims in my single life. The only thing which is to be assured is whether they are set in order to be accomplished chronologically. 

 

I feel there are so many strings in my life to get control over me, to get me disciplined. For that matter, I too, cherish getting myself separated from some norms & disciplined I undergo, but I have seen flying kites cut off from their strings, being incapable of flying any more and gradually falling down on an isolated land or on any deep water body impossible for the followers to reach. 


The lesson we can learn from Arjuna in the Mahabharata is how to be attentive to anything worth doing. We should always put the chaos aside and concentrate on things that matter. Again, on the one hand, in the 21st century there is no one to be Dronacharya as was in the Mahabharata, but on the other hand, the Arjunas in this modern era are having to face more challenges and get distracted more by being influenced under the world of internet, and of social media than Arjuna in the Mahabharata. 


My exact aim is to always follow what my present situation demands. For me, my teachers and my parents are the influencers whom my inspiration comes from. In the future, if I am to do something good for others, I must stand, in need, beside those who are in distress. And this is exactly what my aim is in my life...

Tuesday, April 19, 2022

জানে পরিবার



গৃহ শিক্ষক প্রথম দিন পড়তে আসা এক ছাত্রের উদ্দেশে...




শিক্ষক : এই তোমার নাম বলো, কী নাম?


ছাত্র     : ছেলে জানে।


শিক্ষক : নাম কী? সেটা বলো... কোন ছেলে                                         জানে সেটা জিজ্ঞাসা করিনি।


ছাত্র     : আমার নাম ওই ছেলে জানে, আপনি                জানেন না?


শিক্ষক : এই তোমার নাম বলতে পারছনা ? তোমার বাবার নাম কী গো? 


 ছাত্র    : বাবার নাম বাবা জানে।


শিক্ষক : বাবাকে আগে নিয়ে আসো যাও...




পরের দিন বাবার সাথে শিক্ষক মহাশয় সামনা সামনি 


শিক্ষক : আপনার ছেলে নিজের নাম বলতে                  পারছে না, আপনি বলুন।


বাবা     : ওটা, ছেলে জানে। 


শিক্ষক : না জানে না আপনার ছেলে, ও                        বলতে পারছেনা, আপনি বলুন। 


বাবা     : বললাম তো মশাই ওটা ছেলে জানে। 


শিক্ষক : ( একটু থেমে ) তাহলে আপনার নাম                টা একটু বলবেন? ও সেটাও বলতে পারছেনা...


বাবা    : বাবা জানে ।


শিক্ষক : ( এবার চশমা খুলে ) তাহলে                            আপনার বাবার নাম টা একটু দয়া করে বলবেন?


বাবা     : ওটা ' আমার বাবা জানে ' । কেনো                  ওটাও কি আপনার লাগবে নাকি?


শিক্ষক : ( উঠে দাঁড়িয়ে, হাত জোড় করে) না    না... আপনার বাবার নাম কেন, আপনার নাম টাও আমার লাগবে না।শুধুই আপনার ছেলের নামটাই একমাত্র আমার প্রয়োজন, আর সেটা আপনার ' ছেলে জানে '। তাই ছেলের কাছ থেকেই আমি সব জেনে নেব, আপনি এবার আসতে পারেন। আমার খুব ভুল হয়েছে কিছু মনে করবেন না দয়া করে...।🙏🤒