Wednesday, April 16, 2025

When the পার্টস অব স্পীচ are mirror of Society




যেটা মনে রাখবেন অবশ্যই!


একজন চেয়ার লোভী noun ই কেবলমাত্র অন্য একজন চেয়ার লোভী noun এর সুনাম বা বদনাম করতে পারে এটা কি জানেন? আপনি কি ভাবছেন কোনো noun একা একা এই সব কাজ করবে? নাকি করতে পারে ? আরে মশাই এই কাজ গুলো ওই চেয়ারে বসা noun গুলো করতে পারবে না। এই সব কাজের জন্য তার প্রয়োজন কিছু নেতিবাচক পথভ্রষ্ট, বেকার , কর্মহীন রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো pronouns. এই pronouns রা গিয়ে আপনাকে কিছু আপাত নেতিবাচক ধার্মিক adjectives ব্যবহার করবে, ও আপনার adverbs গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে আপনের verb গুলোকে কাজে লাগিয়ে দ্বন্দ্ব ও দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করবে। আর ওই noun এর বাচ্চা কাচ্চা গুলো, যাদের noun পিতা সমূহ এখানে ক্যামেরায় আপাত বিরোধী, বিদেশে এরা একই ইউনিভার্সিটিতে একই সাথে পড়াশোনা করে, ঘোরে বেড়ায় , একই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা, হিসি করা ও এমনকি পায়খানা পর্যন্ত একই সাথে করে। আশ্চর্য হবেন না। সুতরাং কোনরকম প্ররোচনায় কান দেবেন না, ওগুলো শুধুই adjectives ভেবে আপনার verb বা ক্রিয়া করুন। আসুন আমরা সকলে prepositions গুলোকে কাজে লাগিয়ে আরও বেঁধে বেঁধে থাকি। বিভিন্ন ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করার কথা নয়, এগুলো চাইলেই খুব সফলভাবে conjuctions গুলোর কাজ করতে পারে। আর যাতে না পারে বর্তমানে সেই চেষ্টাই চলছে বিভিন্ন সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা । সুতরাং প্রতিবেশীর আরও বেশি বেশি খেয়াল রাখুন। মনে রাখবেন আপনার verb আপনার পরিচয়, আপনার ওই চেয়ারে বসা ও ঠান্ডা ঘরে বসে হওয়া খাওয়া পিতা nouns গুলো নয়। নতুবা এই যাহ!!!! বলে interjection বা জেলে পৌঁছিয়ে যাবেন !


সোজা কথা, আপনি আমায় কিছু adjectives ছুঁড়ে মেরে আমার adverbs গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, সুতরাং আমার verb নিয়ন্ত্রণ করা আপনার তো ছাড়, আপনার বাপের বা তার বাপেরও সাধ্য নেই। ওদের ঠান্ডা ঘরে বসেই থাকতে বলুন। কারণ আমার এই noun, আমার কর্ম দ্বারা গঠিত, কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ noun পিতার কোনো কোনো entry নেই এখানে... তাদের বলুন... Just গেটের ওপার থেকেই lost হতে...! 


নমস্কার...🙏

Thursday, October 17, 2024

শিকড়

 






এখানেই শিকড়...

সমস্ত রং, জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা এখানে বড় হতে শিখেছি...

আর বেশ মনেপড়ে আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণীতে এই মূর্তির চারপাশে এই জালের রক্ষাকবচ বসেনি তখনও, এটা এই সাম্প্রতিক কালের ব্যাপার। নির্মাতারা বোধহয় বুদ্ধমহাশয়কে এমন করে বন্দী করার কথা তখনও ভাবেননি। এখন ভাবি, এই বুদ্ধদেবকে এমন করে এখানে বন্দী করার পিছনে আমাদের প্রায় সকলের একটু হলেও কীর্তিত্ব বা গৌরব আছে। ছোট বেলায় এই বুদ্ধদেব আমাদের আদর করে ডাকতেন, কোলে কাঁধে বা ঘাড়ে বসিয়ে আদর করতেন, ভালোবাসতেন, আমরাও কত কিছুইনা করেছি। একদিন দেখলাম ওনার নাকটা কেউ হয়তো আদরকরে টানতে গিয়ে খুলে ফেলেছে। পরিষ্কার করে বলছি। না, এই মূর্তির কোনো রং ছিলনা। মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে এমন আশঙ্কাও কেউ করেনি কখনো। রং বা ধর্ম নিয়ে এই নোংরামির কোনো ধারণা আমাদের মধ্যে তখনও ছিলই না। বুদ্ধদেব কখনো কাউকে কোল থেকে নামিয়ে দেন নি। সকলকেই আদর করে কাছে ডাকতেন, সকলের হাতেই খেতেন। আমি তো ওনাকে চুমিও দিয়েছি ছোটবেলায়🥰... টিফিন পিরিয়ডে আমি অনেকবার এই মূর্তির কোলে আরাম করে বসে মুড়িও খেয়েছি। একদিন একটা মুড়ি বা বাদাম এনার ঠোঁটে মুখে দিয়েছিলাম, কিন্তু বুদ্ধদেব যেনো আমাকে ইশারা করে পিছনে তাকাতে বললেন, আমি দেখলাম আমার পিছনে। দেখলাম, নিচে মানে কোলের নিচে পায়ের কাছে, বা উপরে, মানে মূর্তির কাঁধে, বা আমার আশেপাশে কেউ কোথাও আমার বন্ধুরা কেউ নেই, দেখি আমার সামনে, আছেন শুধু কঞ্চি হাতে একজন বন্ধু, ইনি হলেন স্যার দীনবন্ধু, আমাদের সেই সময়ের একজন শরীরশিক্ষার শিক্ষক মহাশয়। তারপর কী যে হয়েছিল সে কথা থাক...

দেনা পাওনা

 দেনা পাওনা



বাজারে বা নিকট আত্মীয়ের থেকে দেনা করে মেয়ের বিয়ের পণ বা পাওনা মেটানোর যে সামাজিক রোগ এটাই সেই সমাজে ও এখনও এই অনাধুনিক সমাজে ' দেনা-পাওনা ' নামে পরিচিত। বর্তমান সমাজে এর প্রচলন ব্যাপক হারে বাড়ছে বইতো কমছে না । এখন সমস্যা তুলনামূলক আগের থেকে আরও জটিলও বটে। আগের এই প্রথার প্রচলন রক্ষার বাধ্যবাধকতা কন্যা পক্ষের ঘরে বা বলা যায় ঘাড়ে চাপানোর রীতি ছিল। হ্যাঁ, সেটাও প্রকাশ্যে। এটা ওই পাত্রপক্ষের এক মৌলিক দাবি স্বরূপ পরিবার, আত্মীয় ও এমনকি বন্ধুমহলেও পাত্র তথা নববধূর সামাজিক সম্মানের সাথে সমানুপাতিক হারে সম্পর্কিত। এখনও যে এই মধ্যযুগীয় পশ্চাৎগামিতার উদাহরণ সমাজে পাওয়া যায়না এমন টা ভাবার কোনো কারণ নেই। তুলনামূলক এখন স্বচ্ছল কন্যার পিতার সংখ্যা সমাজে অনেক বেশি থাকায়, এই দেনা পাওনার প্রচলনে প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাব হয়না। এখন এই প্রথার মাধ্যমও গেছে বদলে। এখন আর এটাকে পণ বলে কম কিন্তু মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসা বলে বেশি চালিয়ে দেওয়া হয়। মানে কন্যার বাবার টাকা যত বেশি, কন্যার প্রতি তারা ভালোবাসাও ততটাই বেশি, অন্তত এই বার্তা টুকুই পাওয়া যায়। বা বলা যায়, শ্বশুরবাড়িতে কন্যার সম্মান ও যত্নের হারের সমানুপাতিক হবে কন্যার বাবার দেওয়া পনের পরিমাণ। এখন নগদ , ভরি এই সবের বদলে, বা বলা ভালো এই সব সমেত সঙ্গে ফ্ল্যাট বাড়ি, বা বিলাস বহুল গাড়ি বা কখনো বাইক এই সবের প্রতিযোগিতা চলে। আগে এই পণ প্রথা পাত্রপক্ষের পিতার বন্ধু মহলে মর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল, কিন্তু এখন সেটা কন্যা পক্ষের পিতার বন্ধুমহলে অহংকার বলে গণ্য করা হয়। এই দূরারোগ্য রীতি সমাজে এখন অঘোষিত ভাবে জীবিত। সময়ের সাথে সামাজিক জীবনে আর্থিক স্থিতি আসবে, এটা কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু আমরা সামাজিক কুপ্রথা গুলি স্বমূলে নির্মূল করার কথা কখনো ভাবি না। আজও কতশত নারী পরিবারে ও সমাজে সমান ভাবে বঞ্চিত, লাঞ্ছিত অত্যাচারিত, আর এই পণ প্রথার প্রচলন এর অন্যতম একটি কারণ। আর নারী অত্যাচারিত হচ্ছে মানেই সেটা পুরুষের হাতেই হতে হবে, এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। সংখ্যায় এমন অত্যাচার অনেক বেশি যেখানে একজন নারী একজন নারির হাতেই অত্যাচারিত হয়ে থাকে। একজন নববধূর কানে গঞ্জনা, ও অপমানের ঝড়ো বাতাস মূলত আসে শ্বাশুড়ি মা, বা শশুর বাড়ির অন্যান্য মহিলা সদস্যদের থেকেই। কতশত জীবন বিসর্জন হয়ে গেছে, আর এই জাতীয় বিসর্জন থেকে মুক্তি পেতে হলে চাই শিক্ষা। একমাত্র প্রকৃত শিক্ষাই পারে মেয়েদের আর্থিক তথা সামাজিক স্বাবলম্বী করে তুলতে। মেয়েরা একমাত্র নিজেদের অধিকার তখনই বুঝে নিতে পারবে , যখন তারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। আমাদের দেশে নারীশিক্ষার আলো রামমোহন, বিদ্যাসাগর , বেগম রোকেয়া ও অন্যান্য গুনি মানুষের হাতে অনেক আগেই জ্বলেছে, কিন্তু সেই আগুন , সেই আলো যথেষ্ট নয় আজও, আমাদের আরও উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। নিশ্চই কিছু অল্প সংখ্যায় মহিলারা আজ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিনিধিত্ব প্রদর্শন করছেন , কৃতিত্ব ও কর্তৃত্ব অর্জন করছেন, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আজও ব্যাপক হারে হয় কন্যা ভ্রূণ হত্যা, আজও হয় নাবালিকার বিবাহ, আরও আজও হয় ধর্ষণ, সুতরাং কিছুই বদল হয়নি। আর কিছুই বদল হবে না যতদিন না আমাদের সংখ্যাধিক ভারতীয় মেয়েরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। আমাদের সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সকলকে একত্র হয়ে কাজ করা উচিত, আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সুস্থতা ও সহযোগিতা কামনা করি। 


নমস্কার।

🙏

Friday, May 24, 2024

জবাব

জবাব দেওয়ায় বিশ্বাস রাখি না আর, 
শুধু আচরণটাই যথেষ্ট বলে মনে হয়... 
সব ফুলের গন্ধ মন মাতিয়ে দেবে 
জীবন নিশ্চই নয় এমন স্বপ্নময়... 
সংকীর্ণতার হিসেব কে অত রাখবে বলো
 দিনের আকাশে অতিথি চাঁদ দেখা যায় বটে কিন্তু রাতের আকাশে...? 
এলিয়েন নক্ষত্ররা থাকলেও 
প্রতিবেশী সূর্য কখনো নয়। 

 R@N@

Friday, December 8, 2023

' Motherhood ' by Prof. Paromita Sengupta


Dr. Paromita Sengupta 


The link is below to experience the ever suppressed words of mothers, from mothers for us... please enjoy :👇

https://cafedissensus.com/2023/12/07/contents-the-other-mothers-imagining-motherhood-differently-issue-69/

What I felt just after going through the eye-opening article, ' Motherhood ' by Prof. Paromita Sengupta, presently working as the director of studies at Griffith College, Limerick, Ireland,is going to be written here...

Review : The outmoded notion of motherhood that still exists in the DNA of society is at stake! The age-old psychological practice formed in favor of patriarchy is going to lose its grips on itself. A very insightful offering article 'Motherhood' illuminates our conscience in this regard. Having gone through it I was, in myself, thinking as if the questions mentioned in the article had already been in my unconscious state of mind. It will surely compel you to ponder over your idea of what you consider the concept of Motherhood and your Mother as well. It is worth taking into account that the camouflage, named Motherhood once the patriarchal society attributed to a particular gender in society, is now left to be detected as well as uncovered at large. There are really many problems! In our society you will find many a women considering parturation to be a mandated and one and only criterion of becoming a certified and granted Mother of a child whereas physicality should be regarded as a choice only. That it is a " deliberate patriarchal ploy to limit women, to restrict and check their potential," has been disclosed to us. Again, the tag 'Supermom' is nothing but 'blasphemous'. Women are getting victimized day by day by their approved outdoor jobs that are socielly considered to be the license of their going out of 'the Laxman-Rekha' hours after playing a very good and smart role of housewives. The women who want to be mothers without giving birth to a baby should also be taken into consideration in our society and again those who don't want to be a mother at all are regarded anything but women here... In an over populated world like ours if a woman doesn't want to give birth to a baby she should be held as no less than a deity by all, and just think if she adopts a baby ... I don't really know what esteems she actually deserves from us! Ma'm... We often tend to forget those who by sacrificing their careers are forced to get married and give birth to a baby. Is mothering for them as sought after as it is for others? The answer is a big 'NO'. That has to be rediscovered now. Add to it, there is coercion where being a mother is equivalent to being cursed! Contrary to those there are many women who at any cost just want to be mothers by putting themselves into great risky " repeated procedures of artificial reproductive techniques." The article is an imperative too in its nature as it instantly suggests to us to envisage motherhood as " a psychological state and not as a physical activity." It also suggests to us to dismantle "the existing construct of a standard motherhood." Once read it one must face a confusion in getting a clear view over whether this age-old concept of motherhood serves in favor of patriarchy or this is exactly the idea to which a good number of women willfully want to be subjected... I have just mentioned here a few points I have read from the article and I am not going to put them all here .I would rather suggest to all the viewers to read it thoroughly at least once!




Sunday, September 10, 2023

নতুন শুরু...

 


নতুন শুরু...


যত্ন করে আস্থা কিছু রেখে দিও আমার, সঙ্গে রেখ আমার কিছু বদভ্যাসের অভ্যাস। নিজে হেরেছি, তবু কিছু হারিয়ে ফেলতে চাইনি। বিশ্বাস করো খুব চেষ্টা করেছি, বেশ কিছুটা সময় থেকেছি, পাশে। মন রেখেছি, ক্ষুদ্র সামর্থে রেখেছি মানও। অনেক জ্বালিয়েছি সকলকে, হাসিয়েছি, এমনকি কাঁদিয়েছি পর্যন্ত। মনে আঘাত দিয়েছি যেমন , তেমন আঘাত মেনেও নিয়েছি, হাসিমুখে, অগোচরে । ভালোবেসে কথা দিয়ে রেখেছিলাম, মন খারাপ করবো না, তাই সেই মন খারাপের অধিকারটাও হারিয়েছি। মনে পড়লে একান্তে? আনমনে একটু হেসেই নেব না হয়, পুরুষ মানুষের চোখে জল আসতে নেই...শোনা কথা, আর তাই সোনার কথা। অনেক কিছুই সব একধাক্কায় বন্ধ হতে হবে এবার । মনে হয় জীবনের এক অরাজক পথের বাঁকে দাড়িয়ে আমি, আর কেউ যেন হাত পা বেঁধে, কলার টেনে সব কিছু একটা একটা করে কেড়ে নিচ্ছে জীবন থেকে। ভালোবাসার মানুষ, এই সম্পর্ক, এই আত্মীয়তা , এই সব কিছু এক নিমেষে। গলা তার নিজের বশে চেপে বসে যায়, আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বৃষ্টি ঝরিয়ে ভিজে আসে দৃষ্টি। আর কখনো কলেজের তাড়াহুড়োয় সকালে ঘুম ভাঙ্গবে না। আর কখনো মাকে বলতে হবে না বেশি করে পাঁপড় ভেজে দেওয়ার কথা। সত্যিই তো, না খেয়ে আর বেরিয়ে পড়ব না কখনো দেওয়া সময়ে কথা না রাখতে পারার আশঙ্কায় । আর কখনো মাঝ রাস্তায় চেন ছিড়লে সাইকেল নিয়ে হাঁটা পথে বাড়ি ফিরতেও হবে না। আর কখনো বৃষ্টিতে ভিজে সাইকেল চালাতে হবে না। আমার অপেক্ষায় থাকবে না ওই মোর মাথায় আর কেউ, আর কাউকে ভাঙ্গা কোরিয়ার টায় বসতে বলতেও হবে না আমাকে। ফাঁকা রাস্তায় ওই বাঁকে কখনো গিয়ে পড়লে ছলছলে চোখটা একটু ঐগাছের নিচে যাবে হয়তো, হয়তো বা বুকটা একটু মুষরে উঠবে, হয়তো বা চলার গতি হবে একটু মন্থর, বা থেমে যেতেও পারে কিছুটা সময়। আর কাউকে বাড়িতে লুকিয়ে একসাথে 3 টে টিফিনও আনতেও হবে না। আর তোমাদের কারো টিফিন চুরি করে, কেড়ে খেয়ে নেবো না কোনোদিন। খাওয়ার সময় আর কোনো বিশৃঙ্খল ফটো উঠবে না। আর কখনো করো পাশে দাঁড়িয়ে ফটো নেওয়ার আশা জাগবে না মনে। এবার তো কাউকে শাড়িতে দেখার প্রত্যাশাটাও কেমন যেন তার অধিকারে অনধিকার প্রবেশ বলে মনে হবে। কথা দিলাম আর কারো ওড়নায় কোনোদিন হাত মুখ মুছে বিরক্ত করব না। এক প্লেট বিরিয়ানি আর কখনো দুটো প্লেটে আসবে না। আর কাউকে সাধ করে, " কিছু খাওয়াবে ?" এটাও বলতে পারবো না। বা ধরো "আজকে কী তরকারি আনছো?" এটা ফোন করে জানব না। বা, কেউ ফোন করে চপ, সিঙ্গারা বা বেশি করে পাঁপড় আনার কথা বলবে না আমাকে কখনো। আর কারো ফোনের মেমোরি অহেতুক ফটো বা পিডিএফ-এ ভর্তি করব না । এবার যদি জ্ঞান হারাই কার কাধে দেব মাথা , আর কার কোলেতেই বা চোখ খুলবে। বা, আর কখনো মনে মেঘ ও মুখে কৃত্রিম হাসি নিয়ে মায়ের কাছে ধরা খাব না। আর মাকে কোনো অসুস্থতা লুকাতেও হবে না। আরও , আরও আছে... আরও কতো কিছু, সবই যাবে থেমে। থামবে না শুধু এই জীবন... এটা চলতেই থাকবে, একাকী। কখনো নিরিবিলি কোনো গাছ তলায়, কখনো কোনো একান্তে ঘাটের ধারে, কখনো বা ভিড়ে ঠাসা প্রখর রৌদ্রে রাস্তার মাঝে। নিরাপদ জীবনের সফলতা যখন আসেনি এখনও, চলতেই হবে একাকী। এই লেখা বিদায়ী নয়, এই লেখা হোক নতুন পথ চলার। আমাকে মনে করো কোনো মৃত এক জোনাকি আলো দিয়ে শুধু রাত টুকু তোমাদের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল । তোমাদের ভোর আসবে, সূর্যোদয় হবে, হবেই। ভোরের আভায় তখন এই জোনাকির নিষ্প্রভ আলো মলিন হয়ে মিশে যাবে তোমাদের জিবনে। এই জোনাকির ভরসায় আঁধার না আসুক আর, সেই আশায় ঘর বেঁধেছি। ধরে নিয়েছি, জিবনে না হয় একটু বেশিই কম ভালোবাসা পেয়েছি, কিন্তু পেয়েছি। মাবাবার জন্যই তো এতদিন শ্বাস নিচ্ছিলাম... আর একটা শ্বাস না হয় তোমাদের জন্য এই জিবনে যোগ করলাম। বাতাসে চুলের উড়ে যাওয়ায় বাস্তবের ব্যস্ত মন আবেগী হয় না আর... ওটা যেন পাষাণ হতে হতে আবেগহীন ক্লান্ত... শান্ত...। তবু এই পাষাণ হৃদয় চায় রেশটা থাক, এটা বেশ মনোরম, হ্যাঁ... এই রেশ কখনো না কাটুক, এটা থাক...

শপথ করে মন...


" গভীর নদী সামনে যখন

   সাঁতরে নেব পাড় 

   তবু মন খারাপের ভেলায় আমি

   ভাসবো নাকো আর...

  চোখের জল, ভালোবেসে নদী দেবে ধুয়ে

  মা যেমন সন্তানেরে,

  ভোলায় পাশে শুয়ে..."💞😌


নতুন করে জীবন শুরু করার অভিপ্রায়ে এখানেই শেষ করলাম...।

তোমাদের শুভ যাত্রায় আমার শুভকামনা সবসময় থাকবে...🌼💞🙏😌 


সকলে খুব খুব ভালো থেকো... মনে না পারলেও অন্তত একজন ভেবে গুনে রেখো..💞🌼🙏




 

Sunday, September 3, 2023

অস্তিত্ব WANTED

 





প্রতিদিন হারছি...  হারাচ্ছি...
হারবো জেনেও এই লড়াই। এই লড়াইটাই অভ্যাস। সূর্যের প্রখর রোদ আরও প্রখর হয়েই আমাতে পড়ুক। আমার প্রার্থনা তাদের কম হতে কখনো বলেনি, বলবে না।  পড়ে গেলেতো সেই প্রকৃতির বুকেই পড়বো। চোখ খুলি যেন কোনো প্রিয়জনের কোলে... আবার উঠে দাঁড়াব । আর চোখ যদি আর না খোলে  তবে? আমি কে? কেউ না। আমি আমার নিজেরও কেউ না। নিজের শ্বাস আমি নিজে নিয়ন্ত্রণ করি না, সব কিছু এমনি হয় । আমার দেহে রক্ত চলাচল টাও আমার মতামতে হয় না। তেমনি খিদে ঘুম চিন্তা দুশ্চিন্তা এরা সবাই আমার অবাধ্য, অবোধ্যও । কেনো আমার বিনা অনুমতিতে নির্লজ্জের মতো এরা সবাই আসে , যায়, আবার কখনো আসে না, আবার এসে যেতেও চায় না মাঝে মাঝে , আমি সে সব কিছুই বুঝি না। এই সবের মাঝে আছে এক মন, তার আবার আছে এক স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নতে আছো তুমি। আর অবোধ আমি এই স্বপ্ন আমার বলে দাবি করি, আর সঙ্গে তোমাকেও । হ্যাঁ, এই অন্যায় দাবি আমার। কখনো তো মনে হয় এই মন টাও আমার নয়, অন্যের। অন্যের ছাড়া নিজের কথা ভাবেই না। তাহলে আমি কে? আমার অস্তিত্ব কোথায়? নিরুদ্দেশ আমি! দেখি, কাল সংবাদপত্রে একটা বিজ্ঞাপন দেবো...

" অস্তিত্ব wanted" 

চেহারা : শ্যামলা পাতলা লম্বা কালো চুল, চোখে আছে তার স্বপ্ন দেখার ভুল।" দেখা পেলে সত্বর যোগাযোগ করবেন নিচে দেওয়া  মনের ঠিকানায় : অচেনা শহর ; স্বপ্ন নগর 2 no. রোড;  কলকাতা 700008 . "

Tuesday, August 29, 2023

জঞ্জাল




আত্মীয়তা তো ওই ছেঁড়া বাতিল কাগজের টুকরোগুলোতেও অনুভব করি যেন... কই একেবারে কখনো বাইরে ফেলে দিতে পারিনা তো। কোথায় যেন বাঁধে... হ্যাঁ, কোথাও যেন বাধে। প্র্যাকটিকামের খাতায় স্থান না পাওয়া ওই অভাগা পাতা গুলোয় যেন কোনো এক বিশেষ আবেগ , কোনো এক মায়া অনুভব করি। তাই তাদের একটা আলাদাই ফাইল বন্দী করেছি। ওগুলো তোমার জঞ্জাল, আমার আবেগ। ওরা যেন জীবনের কোনো এক সুন্দর সময়ের শহীদ। ওরা কোনো কিছুকে যোগ্য ও সুন্দর করে নিজেদের নিমেষে বলি দিয়েছে। ওদের নিয়ে আবেগ থাকবে বৈকি...। আমার আবেগ আধাঁরে নিভৃতে কাঁদে... সেগুলো কথা বলে, ভারি মিষ্টি স্মৃতি উপহার দেয়, আর আমাকে ভালোবাসে, অনেকটা... যেমন টা কেউ কখনো বাসেনি। ভালোবাসা কোনো বস্তু হতেও অনুভব করা যায়, ব্যক্তি তো সর্বদা নাও থাকতে পারে জিবনে, পাশে...। এই এতটা পথ পেরিয়ে বুঝি , ছেঁড়া পাতায় যদি তোমাকে মনে না পড়ে, তাহলে সে পাতা আমার " জঞ্জাল "। আর শুধু ছেঁড়া পাতাই কেন, সেই ভাঙ্গা মন আজও কোথাও বেঁচে আছে। কখনো সেই ভাঙ্গা মনেই মনেপড়ে যায়... কে যেন কখনো আমাকে বলেছিল, - "জঞ্জাল!"।  জঞ্জাল নিভৃতে কেঁদেছিল...।🙂

Sunday, August 20, 2023

জীবন স্রোত...




সবাই দুর্দান্ত...!

হ্যাঁ, সবাই দুর্দান্ত ক্লান্ত...

জীবনের পথ চলায় আমরা সবাই এই কয়েকটা দিন একসাথে পা মিলিয়ে চলেছি। জীবন আবার চেনা ছকে চলে না। অনিশ্চয়তা থাকবেই, আর এর জন্যই জীবন টা হয়তো এত সুন্দর। অচেনা জনগুলো চেনা হতে হতে কোথায় যেনো হারিয়ে যায়। এই হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রত্যাশার ছোট ছোট নদ নদী নিয়ে। জানি সকলেই সাগর পাড়ি দেবো একদিন , তবে প্রত্যাশার মোহনাস্থল গুলো ভিন্ন। এখন মন চায় কোনো একটা মোহনায় একসাথে সকলে পাড়ি দিতে। কিন্তু  জীবন কারো  প্রত্যাশী নয় । জীবন চায় আরও শাখা নদীর জন্য প্রস্তুত হতে, সে বলে আরও উপনদীর আগমনের কথা ও আরও নিস্বার্থ মিলনের কথা। আর হ্যাঁ, সর্বপরি সর্বদা আরও ভালোবেসে সামনে ভেসে যাওয়ার কথা। এই নদ নদীর জলে কত জনই না চাষাবাদ করে, নদীপাড় কেটে কিছু জল নিয়ে অন্য জলাশয়ে সঞ্চয় করে রাখে, জীবন যাপন করে। কত পরিবার সপরিবারে খেলা করে , সাঁতরে যায়, ডিম পাড়ে, কত জনই যে দাঁড়  টেনে জীবন দাঁড় করাতে চায় নদী তার হিসেব রাখে না, জীবনও তাই এই হিসেব রাখবে কীভাবে। জীবন জানে তার কিছু স্মৃতি ওই জলাশয়ে আছে সঞ্চিত। সময় হলে সেও বছরে দুই এক বার দুকূল ছাপিয়ে ওই স্মৃতির জলাশয়ে গিয়ে ঝাঁপ দেয়, সমৃদ্ধ করে আসে, সমৃদ্ধ হয়েও আসে। কোনো জীবন ভালোবাসে পার্বত্যভূমি, সে চায় ঝর্না হয়ে সশব্দে কোনো উঁচু পর্বত বা পাহাড় থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়তে। কেউ সমভূমি দিয়ে দূষিত ক্লান্ত যমুনা হয়ে প্রবাহিত হতে, কেউ আবার  ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়েই পরিশ্রুত বেশে নিঃশব্দে নেচে চলতে। ঠিক যেমন সকলের জীবনের লক্ষ্য  উদ্দেশ্য ছন্দ ও পছন্দ ভিন্ন। এই ভিন্নতাই বৈচিত্রতা, এটাই সুন্দর। সকলের বুকেই সূর্য উদয় হয়, একই ভাবে অস্তও যায়। স্বপ্ন আমাদের একটাই... ' সেই কোনো একদিন সকলে মিলে সাগরে একসাথে সূর্যোদয় দেখা '। কিন্তু সেই পথ এখনও অনেক দীর্ঘ। এখনও কত পূর্ণিমার চাঁদ সকলের বুকেই প্রতিফলিত হ‌ওয়ার আছে । তাই সমভূমিতে জীবনগুলোর সৌন্দর্য নিয়ে পরিচিত বা অপরিচিত লেখকজনেরা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করেন  । কিন্তু ওই সকলের আড়ালে, ঘন জঙ্গলের ভিতরে জীবনের বুকে প্রতিফলিত হ‌ওয়া চাঁদটার কথা, সেই জীবনের ভালোবাসার কথা কেউ জানতেও পারে না। পূর্ণিমাতে সে খুব বেশি আনন্দিত হয় না যেমন, অমাবস্যাতেও তার দুঃখ বন্ধু হয়ে পাশে বসে না আর ,  কোনো উপায় নেই। কখনো সে মৃত, কবরস্থ। ভালোবেসে সে বুকে আশ্রয় নেয় বালি , ও পাষাণ পাথর। আকাশে ভালোবাসার পূর্ণিমা ওই পাষাণ হৃদয়েই উঁকি  দিয়ে যায় , তখন কি তাকে বুকে ধরার সৌভাগ্য আর হয়? তা হয় না।  এই ভালোবাসায় কবিদের নজর লাগে না। তার ভালোবাসা থাকে অন্তরালে, অলিখিত, অলক্ষিত। তার প্রেমের ভাষাও আলাদা, এই ভালোবাসা স্বচ্ছ কাচের মতো পরিষ্কার । এই ভালোবাসা অনেক বেশি সম্মানের। অনেক বেশি গোপন, গোপন প্রতিফলনও। কালো মেঘ যদি তার ভালোবাসা ঢেকে দেয় কখনো, এই নদী চায়, এই জীবন চায় ওই কালো মেঘের প্রতিটা জলবিন্দু কে নিজের বুকে ধরে তার ভালোবাসার মুখে হাসি আনতে। আর তখন প্রকট যেন পূর্ণিমার স্বরূপ। সেই  প্রশান্তিতে ভরা পূর্ণিমা চাঁদ সেই বুকে ঢেলে দেয় তার ভালোবাসা। এই চাঁদের কলঙ্ক গুলো জীবন তার জীবন স্রোতে দেয় ধুয়ে , নিয়ে যায় ভাসিয়ে সাগরে চিরকালের মতো। যেখানে উদয়ীমান সূর্যদেবতার কাছে নিজের জীবন অঞ্জলী দিয়ে করে ভালোবাসার মঙ্গল কামনা , "সে যেন সর্বদা ভালো থাকে, সে যেনো সুখী হয়..." জীবন দেখায়, শেখায় ভালোবাসার স্বরূপ ত্যাগ, ত্যাগ স্বীকার। ভালোবাসায় ত্যাগস্বিকার, ত্যাগ স্বীকারই ভালোবাসা। 

ক্লান্তি জীবন কেড়ে নিলেও ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারবে না, কোনো দিন না...

Wednesday, August 16, 2023

ভালোবাসার কী দরকার?

 





ভালোবাসার কী দরকার...


শুধু চোখে চোখের দেখা দেখা, আর? আর শুধু ভেবে চলা ,আর চলার পথে ভাবা...। এটাই ভাষা। সেই ভাষার কী বা দরকার যার জন্য শ্রোতার প্রত্যাশী হতে হয়? অন্যের উপস্থিতি থাকতে হয়। ভাষাহীন নিজেকে অনুভব করাই যায়। ভালো সেই শিশুও বাসে, যার এখনও ভাষা নেই। ভালোবাসাও ভাষার খোঁজ রাখেনি...

তাই, ভাষার কী দরকার?

আর, ভালোবাসার কী দরকার...

ভালোবাসা পাওয়ার কী দরকার...

বেলিফুল





এই পৃথিবী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা, আবেগহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখানে আবেগে লাল কালির দাগ। হৃদয়হীন রোবট গুলোর আনাগোনা চারপাশে। একবার মনেহয় হৃদয়টা খুলে রেখে রোবট হয়ে যাওয়ার উপায় থাকলে ভালো হতো। তাহলে অন্তত ভালো থাকতাম। হৃদয় থাকলেই যেমন সে অন্যকে তাতে রাখবে বলে উতলা হবে, আবার তেমনি আর এক অন্য হৃদয়ে ঠাই পাওয়ার জন্যও এটা অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে উঠবে। আর হৃদয়ের খোঁজে নতুন জায়গায় পাড়ি দেওয়ার সাহস আমার নেই, অবকাশও নেই আর। তাই, এটার এই জগতে এমনিতে দরকার ও বিশেষ নেই। কখনো কখনো অনুভব করি যেন এক মানসিক রোগ নিয়ে জন্মেছি। মাথার ভিতর কে যেনো একটা হাতুড়ি মারতে থাকে আমার স্বপ্নঘুম গুলোকে। সে স্বপ্নে অন্ধকার রাস্তায় আমি একা হাঁটতে থাকি। কুকুরগুলো ফুটপাতে শুয়ে মাঝে মাঝেই তুচ্ছ কারণে চিৎকার করে ওঠে। হাঁটতে থাকি... অন্ধকারে পেছন থেকে কে যেন আমাকে একধাক্কায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। উঠে বসি , উঠে দাঁড়াই, আবারও চলতে থাকি। বেশ কিছু পথ যাওয়ার পর আবারও ধাক্কা লাগে , আবারও পড়ে যাই। এই বার এক হালকা যন্ত্রণা অনুভব করি যেন। মুখতুলে দেখি এটা অন্য এক ধাক্কা, একখানা মিষ্টি মুখ, যেন অনেক দিনের চেনা, আমায় ভেতর থেকে জানে কেউ, বোঝে কেউ এমন একজন। উঠতে গিয়ে আবারও পড়ে যাই, কোথায় আঘাত লেগেছে বুঝতে পারছি না ঠিক। সে আমার হাত ধরে আমাকে তোলে। আমার হাতে তার হাতের কোমল স্পর্শে বুকের যন্ত্রণা ভুলে যাই। কিন্তু  একি...! তার চোখে জল কেনো? দুই চোখে অনবরত অশ্রুধারা বয়ে চলেছে তার। আমার জীবনের এই অন্ধকার রাস্তার অন্য প্রান্ত হতে হাতে ফুল নিয়ে হাঁটছিল সে, 'বেলি ফুল'। হাতে তার বেলিফুলের মালা। হয়তো বা তার কোনো বিশেষ প্রিয় মানুষের জন্যই এটা গাঁথা। কে জানে, হয়তো সেই তার  উদ্দেশ্যেই সে কোথাও হাঁটছিল। হয়তো ওই ফুলগুলিও তারই জন্য। আর আমি একধাক্কায় তার সেই সব ফুলগুলো মাটিতে ফেলে দিয়েছি। ছি...ছি... এ আমি কী করেছি! ভুল করেছি আমি। শাস্তিও মাথা পেতে নেব, সে দিলে । ফুলগুলি একটা একটা করে কুড়াতে থাকি আমি, ভাবি জিজ্ঞাসা করি, " আমার এই অন্ধকার রাস্তায় তুমি এই ফুল নিয়ে কী করছো? কাকে দেবে? কে নেবে আমার এই রাত্রি বেলায়?' অবশেষে কিছুই জিজ্ঞাসা করি না, সব ফুলগুলো তাকে দিয়ে দিই। তার হাসিমুখে আমার অন্ধকার ভোরের আকাশে সূর্য দেখা দেয় । হাসিমুখে সে চলে যেতে থাকে। নিস্তব্ধ রাস্তায় আমি দাঁড়িয়ে দেখি তার এক পা, এক পা, করে মিলিয়ে যাওয়া। হঠাৎ দেখি আমার হাতে তখনও একটা ফুল, হ্যাঁ বেলি ফুল! হাতে লেগে ছিল কোথাও, অন্ধকারে ভালো করে দেখিনি, হাতেই লেগেছিল কোথাও । কিন্তু এটাতো আমার ফুল নয়, এটা ওই মেয়েটির ভালোবাসার ফুল। আমি এটা কীভাবে রাখি নিজের বলে, আমি এর অন্যায় অধিকারী হতে পারি না। সে অধিকার আমার নেই, এটা অন্যায়, এটা অনুচিত...। ফিরিয়ে দেব বলে চেঁচিয়ে ডাক দিলাম , " এই বেলিফুল...!! তোমার ফুল নিয়ে যাও!" মুখ তুলে দেখি সে নেই। চলে গেছে। ভাবতে থাকি, " এই ফুল আমার কাছে নষ্ট হয়ে যাবে, এই আগুনে পোড়া জিবনে এই ফুলটাকে কী ভাবে অক্ষত রাখবো আমি, আমি যে এটাকে নষ্টই করে ফেলবো, তুমি এই ফুল নিয়ে যাও... নিয়ে যাও এই ভালোবাসা, নিয়ে যাও... ।" আমার সূর্যদয় হতে হতে হলো না। কালো মেঘে আকাশ সেজে উঠেছে, আঁধার ঘনিয়ে এলো। ফুলটা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে গিয়ে চোখ থেকে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে তাতে মুক্ত বিন্দু হয়ে গেলো। নিমেষে বৃষ্টি নামলো আকাশে। বিদ্যুৎ চমকাতেই দেখি হাতে ধরে থাকা ফুলটায় আমার অশ্রু ফোঁটায় বৃষ্টির ফোঁটা মিশেছে, আর কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আর কেউ কিছু কখনো কোনোদিন বুঝতে পারবে না। ধুয়ে গেছে সেই অশ্রু... ধুয়ে যাবে আছে যাকিছু, যতটুকু। তবু চেস্টা। দ্রুত বুকের বাম পাশের পকেটে ফুলটা আলতো করে ধরে রেখে বৃষ্টিতেই হাঁটা দিলাম... বেলিফুল বুকেই হাঁটা দিলাম...। আচমকাই আবারও কে যেনো মাথায় ভেতর থেকে হাতুড়ি দিয়ে ঘা দিল! ”আ...হা..!” বলে চিৎকার করে যন্ত্রণায় চোখ বুজে জ্ঞান হারালাম। চোখ খুলে দেখি বিছানায় আমি... মাথায় তখনও ব্যাথা...।

Tuesday, August 15, 2023

বাঁধন

 



বাঁধন

বাঁধন খুলতে তখনও চোখে জল আসতো। মায়ের আঁচলের বাঁধন। অপু দিবা নিদ্রায় বন্ধুত্ব কখনো করতে পারে নি। এখন নিদ্রা তাকে রাত্রেও একা ছেড়ে দিয়েছে। এখন আঁচল আছে, বাঁধন নেই। সে ভাবে মাকে জিজ্ঞাসা করে, " আচ্ছা মা, তুমি আমাকে আর এখন বেঁধে রাখনা কেনো তোমার আঁচলে?" শোষণ গুণে এ যেন সেই বিশল্যকরনী ... ছেলে বেলায় ঘাম , ভিজে হাত মুখ মাথা আর এখন, চোখের জল গোপনে...আগে ছেড়ে যাওয়ার আকুতি বায়নায় সেই জল...আর এখন

ছেড়ে যাওয়ার আফসোসে। সে জানে, মাও বোঝে... কোথাও বাঁধা পড়লে মা-ই আগে বোঝে। আশ্রয় পায় সেই মমতাময়ী আঁচলে। সে ভাবে, " আমাকে তুমি সারাজীবন বেঁধে রেখো মা, কোথাও নতুন করে বাঁধা পড়তে যাতে না হয়।" 

এখন বাঁধন খুললে চোখে জল আসে...🌧️🌧️🌧️


Monday, May 8, 2023

সর্বহারা

 



সর্বহারা


ভেসে ছিলাম, একসাথে কখনো দুজনে...

 ঘনীভূত আবেগের মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে সেই কবে,

সূর্য আবারও বেসেছিল ভালো...

ভালোবাসা যেন সদ্যস্নাত পাতায় 

তখনও জ্বেলে রেখেছিল আলো।

রেখেছিল বৃন্তে, একফোঁটা সিক্ত ভালোবাসা...

গাছটা তখনও ছিল, আছে আজও। রেখেছে এখনও জীবিত, সুপ্ত পুরানো সেই আশা।

মনের ক্ষত ভালোবেসে বাকল দিয়েছে ঢেকে 

মজবুত করেছে কান্ড, শিরদাঁড়া...

ঝরে যাওয়া পাতায় জীবনের হিসেব শুকনো, হিসেবের খাতায় আমি এক সর্বহারা...।


সোমনাথ


Wednesday, April 12, 2023

গাজন

 



গাজন


গাজন, চৈত্রের এক বিশেষ দিন, যেখানে ছোট থেকেই দেখি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সন্ন্যাস (চলিত ভাষা : উত্তুরি ধারণ ) নিয়ে সকাল থেকে একটা দল বাড়ি বাড়ি যায়। " বাবা তারকনাথের চরণের সেবায়, মহাদেব..! " এই স্লোগানে মুখরিত দলটি সেই সকল পরিবারের মঙ্গল কামনা করতে থাকে বাড়ি বাড়ি। সঙ্গে হাঁটেন ঢাকি, ও কাঁসর বাদক, আর পাড়ারই কিছু বাচ্ছা ছেলে, ওই কিছু ডাব ও বাতাসার টানে পেছন পেছন যাওয়া ছোট ছেলেরা। বাড়িতে প্রবেশের সাথে সাথে তারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায় । তারপর মা কাকিমাদের দেখেছি তাদের পায়ে জল ঢেলে ধুয়ে দিতে ও তাদের প্রণাম করতে। তারপর বাতাসা ছড়ানো, ও তাদের উদ্দেশ্যে কিছু গোটাফল দেওয়া। আমিও আমার বাড়ির দিদি ও দাদাদের সাথে হরিলুঠ বা ছড়ানো বাতাসা কুড়িয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রস্তুত থাকতাম, আর শুরু হওয়ার সাথে সাথেই সে যা করতাম তা আর বলার নয়। কখনো তো একটা বাতাসাকে নিয়ে দুজনে টানাটানি, ঠেলাঠেলি ও ঝগড়া হয়ে তিন চারদিন আমাদের মধ্যে কথা বলাই বন্ধ থাকতো। একবার ওই সমস্যায় নিজেদের জড়িয়ে আমি আর দিদি গিয়েছি মা-এর কাছে, বাতাসা টা কে নেবে সেই সমাধানের আশায়। আর আমি যেতে চাইতাম না কারণ মা আমার কথা কবেই বা শুনেছে যে পুরো বাতাসাটা আমার হবে...! যাইহোক গেলাম, মা শুনলো আর বাতাসা টা নিয়ে দিদিকে দিয়ে দিল সঙ্গে সঙ্গে। আমার আর কী, কান্নাই সম্বল তখন। কী আশায় আসা, আর কী হয়ে গেলো। বাবা আমাকে বলল, "দিদির বাতাসা বেশি হবেই তো, কারণ গাজনের দল তোমার নাম ধরে ডেকেছিল, কিন্তু দিদির নাম তো ডাকেনি, তাই ওকে বাতাসা বেশি দিতে হবে।" আমি জিজ্ঞাসা করলাম, " ওর নাম ডাকেনি কেনো?" সেই প্রশ্নের যথার্থ উত্তর যাই হোক আজও পাওয়া যায়নি। তবে বেশ সুন্দর স্মৃতি বলা যায় এটা আমার। এবার বিষয় টা বলি... গাজনের দল, ওই 20 থেকে 25 জনের মতো, বাড়িতে আসার আগে , মূলত  পরিবারের প্রত্যেক পুরুষ সদস্যদের নাম লিখে রাখা হয়, যাদের নাম ধরে সন্ন্যাসীদল বলে ওঠে, " নাম + এর মঙ্গল হোক...!" মহিলাদের নাম কেনো এখানে লেখা হয় না বা তাদের মঙ্গলের কোনো দরকার আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর আমি আজও জানি না। কিন্তু ছোট বেলায় দিদির নাম লেখা হয়নি বলে ওর ঠোঁটটা ফুলতে দেখেছি, মনে আছে। ও মনে হয় 2 টো বাতাসা বেশি পেয়ে খুশি থাকতো কিনা জানি না। বলাবলি কী, মেয়েদের ভাষায়, "এই সব বাড়ির মা মেয়েদের ব্যাপার বেশি জেনে কী দরকার তোর...?" তাই না?

আপনাদের জানা থাকলে নিচে দেওয়া অনুভূতির পাতায় অবশ্যই জানাবেন...🙏😌

Tuesday, March 21, 2023

বসন্তের রঙ 💐

  



বসন্তের রঙ


এমনিতে সে নবীনা, চঞ্চলা... প্রাণ বন্ধু বলাই শ্রেয় কিন্তু দেখেছি যেকোনো উদ্যোগ বা দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ্বাস ও স্বতস্ফূর্ততায় সে মুহূর্তে কেমন যেনো দিদি হয়ে ওঠে আমার। কি জানি, এখন এই আমি সর্বদা স্বাধীন সৈনিক তার ওই আদেশ পেতেই পছন্দ করি। তার প্রতি নির্ভরশীলতা নিজের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে যেনো মনে হয় না কই। তার মার্জিত সহজ আচরণ, শালীনতা , উদার মানসিকতা তার প্রতি আমার নির্ভরশীলতা বাড়ায় বই কমায় না। এটা সত্যি যে এই সৌন্দর্যের প্রশংসায় ভাষার অভাববোধ করছি। এক নিঃশর্ত সৌন্দর্য্য শাসন তার মুখবয়বে সব সময় মাখা, ঠিক মা যেমন সন্তনেরে করে...


শাড়িতে দেখেছি তাকে, লাল পাড় আর হলুদে, দেখেছি বেনিতে তার ফুল, দেখেছি তার অলক্ষ্যে, দুর হতে বেশি করে... তার চোখে চোখ রেখে তাকে দেখা না দেখার সমান , সেই  স্পর্ধা আমি করিনা, তাহলে তার অনেক কিছুই দেখা হয় না, তাই দুর থেকেই সই... 

হ্যাঁ শুধুই দেখেছি... নিজের মনের গলায় দড়ি বেঁধে শুধুই তাকিয়ে থেকেছি... দেখেছি তাকে পরিপাটি আঁচলে, দেখেছি তাকে শাড়ির কুঁচির দোলায়, ভাঁজে ও ওঠা নামায়... পাশ দিয়ে দূরে হেঁটে যেতে, সবাইকে নিয়ে.., একসাথে হাসতে, হাসাতে, খেতে, খাওয়াতে। 

শুধু আমি একা নই, আমরা অনেকেই তাকিয়ে থেকেছি যখন সে একদিন নেচেছিল বসন্ত উৎসবে ।


সেইদিন লেগেছিল বসন্তের রঙ, মনে। মাখিয়ে ছিল সে, নিজ হাতে... কোনো এক অজানা অভিমানে...

তাকে স্বীকার করেছি গোপনে, মনে মনে। করেছি পূজা স্বপনে... অনুভব করেছি এই নারী, শাড়িতে পুরুষ মানুষকে গলায় নিঃশর্তে পড়াতে পারে দড়ি...

কোথাও এক লজ্জা দিয়ে যায় যেন, এই লজ্জা সেই লজ্জা নয়, এটা সেই লজ্জা যার সামনে যেতে পুরুষ ভালোবাসে, এই লজ্জায় হার স্বীকারে কোনো লজ্জা নেই... এই লজ্জায়  মৌনবাসে বনবাস যাওয়া যায়...

প্রকাশ্য প্রশংসা ? না না। এটায় আশঙ্কা আছে। তাকে হারানোর আশঙ্কা, নষ্ট করে ফেলার আশঙ্কা, আশঙ্কা মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবার... তাই এই লেখার আশ্রয় নিয়েছি। অনুভব করেছি কেনো মানুষ তার জীবনের অমূল্য সম্পদ গুলোকে নিভৃতেই লালন পালন করে, অন্তরালে। সে যেন সর্বদাই ভালো থাকে, সুখী হয়...। 


নজর কাড়ে... তাই নজর লাগে। জীবনে হারিয়েছি অনেক, পেয়েছিও অসংখ্য।তবুও তাকে ওই না পাওয়ার তালিকায় ভালোবাসতে ইচ্ছা হয় না।  তাকে সবেতে মিশিয়ে ফেলেছি, চিনি আর দুধ যেমন মেশে একে অপরের সাথে। আবার কি নিয়ন্ত্রণ হারাব? না থাক... অসংখ্য আশঙ্কায় মন ভিজে... নতুন সূর্য উদয় না হলে রৌদ্রে মেলবো কী ভাবে?...এই  প্রশ্নের উত্তর অজানাই থাক...


 তোমায় প্রকাশ করতে গিয়ে দেখি আমি পুরির সমুদ্র সৈকতের সামনে দাড়িয়ে...🌼💞


Monday, March 20, 2023

চা-বিস্কুট 😃

 





মলয়দার বাড়িতে গিয়েছি, দাদা কে ডাকতে, ক্রিকেট খেলব। দাদা, প্রাতকার্যে হালকা হতে ব্যস্ত, তাই বৌদি আমাকে একটু বসতে বললে। আমি বসে, হতে দৈনিক পত্রিকা। আমার যখন পত্রিকার পাতায় এসএসসি প্রার্থীরা আন্দোলনের 750 দিন পার করেছে, ঠিক তখনই মলয়দার বউ তাদের 1 বছরের বাচ্ছা টাকে খাওয়াতে খাওয়াতে সামনের সোফায় বসলো। ছেলে সে তো কিছুতেই খাবে না, আর মা তো মা-ই, ছাড়বে কেনো...! বলে, " ওয় কাকু এসেছে ..! এখুনি ধরে নিয়ে যাবে তোকে! খেয়ে নে তাড়াতাড়ি! নাহলেই বলে দেবো, নিয়ে চলে যাবে। কাকু খুব রাগী, ধরে নিয়ে গিয়ে বেধে রেখে দেবে একদম! " ছেলে আমার দিকে হাঁ করে দেখলো, আমি একটু হাসলাম মুখ টিপে... আর তার মা, অমনি ছেলের খোলা মুখ পেয়ে যতটা খাবারের মন্ড যায়, তার থেকেও বেশি ছেলের মুখের ভেতর ঠেসে ঢুকিয়ে দিলো... মাইরি! সত্যি বলতে বৌদির ছেলে খাওয়ানোর টেকনিকে আমিও হাঁ , তবে আমার মুখ আমার দুহাতে চাপা ছিল। ছেলে ততক্ষনে কী করবে না করবে ভেবে না পেয়ে, অর্ধেক খাবার মন্ড গিলে, অর্ধেক ফেলে , বিষম খেতে খেতে চিল চেচানো শুরু করে দিয়েছে। মলয়দা ভেতর থেকেই ডাক দিল, " কী হলো গো...! এত্ত কাদঁছে কেনো ছেলে টা!!?" বৌদি বলে ওঠে, " ঔ পাশের বাড়ির 'পচা' গো, ওকে দেখেই আমাদের ছেলেটা চেচাচ্ছে, ও কিছু না।" আমি তো অবাক! য ব্বাবা..! আমি মাঝে খলনায়ক! ভাবছি, " শুধু ছেলের কাছেই ভিলেন বানিয়ে এই মহিলা খুশি নয়, ছেলের বাপের কাছেও আমাকে বদনাম করে দিলো। ছেলেটার যে দম আটকে যাওয়া দেখে আমি নিজে আঁতকে উঠেছি সেটা উহ্যই থাক। তা, আমি তো আমার মুখ বন্ধ করে ঢোকগিলে প্যাঁচার মতো বসে। ছেলেটা খুব কাঁদছে দেখে ভয়ে ভয়ে বৌদিকে বললাম, " আমি একটু বাইরে আছি বৌদি , দাদাকে বলে দিও।" বৌদি হেসে বলে, " আরে দাড়াও দাড়াও....! ভাই, তুমি কোথায় যাচ্ছ? একবার ছেলেটাকে ধরতে হবে তোমায়, তোমাদের জন্য চা টা বসাই । দেখো না তোমার দাদার কাজ, ছেলে টা কাদঁছে শুনতে পাচ্ছে না, সে চেম্বার খুঁড়ে পায়খানা করছে যেনো, একবার ঢুকলে হয়, 1 ঘণ্টা ধরে বসেই থাকে, ভেতরে বসে কীকরে কী জানি বাবা! ” আমি কিছু বলার আগেই ছেলেকে আমায় ধরিয়ে দিল বৌদি। এখন ওদের ছেলে, আমার কোলে। মনে হচ্ছে সকাল বেলা প্রতিবেশীর ছেলে মানুষ করতে এসেছি। বাচ্ছাটা আমার কোলে চুপকরে গেলো একদম... আমি একটু সাহস করে হাসলাম বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যে বৌদি চা বিস্কুট এনে হাজির। হাসি মুখে আমার সামনে চা-টা টাবিলে রেখে দিয়ে, ছেলেকে নিজের কোলে নিল। আমি একটু স্বস্তি অনুভব করে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিলাম। বৌদি কিন্তু পাশের সোফায় ছেলের খাওয়া নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ছেলে কিন্তু অগ্রিম বিপদ বুঝে ঘ্যান ঘ্যাণ করতে শুরু করে দিয়েছিলো। আমি একটা বিস্কুট দিতে গেলাম ছেলেটিকে , সে বেশ হাত টা বাড়িয়েই ছিল। কিন্তু তখনই বৌদি ছেলের হাতটা সরিয়ে নিয়ে  আচমকা বলে উঠলো, " আরে না না! সকালবেলা চা বিস্কুট ভালো ছেলেদের খেতে নেই বাবা, ও গুলো যারা খায় তারা ভালো নয়, তারা বদমাশ। সোনা আমার, এই কাকুও খুব বদমাশ, ওটা ' পচা ' কাকু, একদম 'পচা'।" আমি সবে একটা কামড় দিয়েছিলাম, অর্ধেক বিস্কুট আমার মুখেই থেকে গেলো আর বাকি টা খাবো কী ভাবে তাই ভাবছি। ছেলে আবারও ”ভ্যা...!” করে... চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠে একবার। মলয়দাও ভেতর থেকে বলে, " কী গো...! কী হলো গো ছেলেটার...! বৌদিও উত্তর দেয়, " ওই তো তোমাদের ' পচা ' গো, ওকে দেখেই কাদঁছে, ও কিছু না...!" এটা শুনে বিস্কুট গেলো আমার গলায় আটকে,  এবার আমার নিজের বিষম লাগলো। খুব কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে দেখি চোখে আমার জল, আর মনে মনে কাদঁছি, "মলয়দা গো আমাকে বাঁচাও তুমি, দয়াকরে বের হও, আমাকে কেনো আসতে বললে গো তোমার বাড়ী?" ইতি মধ্যে পিঠে তাল পড়ার মতো দমাস..! দমাস..! করে দুটো শব্দ... দেখি  ছেলের মুখ একদম হ্যাঁ, আর মুখে সেই মন্ড ঠাসা, ছেলে প্রায় আটকে গেলো গেলো দেখে মনে হলো...! একদম ককিয়ে উঠেই দমটা নিয়ে ছেলে যেই না দ্বিতীয় বার চিল চেচানি চেচালো পিঠে আর একটা ' দমাস্ ' করে ঘা! গোটা ঘর ছেলের কান ফাটানো কান্নার চিৎকারে কেপে উঠলো যেন...! তৎক্ষণাৎ, চায়ের কাপ রেখে আমি   দিলাম ছুট...! মলয়দা ততক্ষনে বেরিয়ে, ডাক দিচ্ছে, " ' পচা '...! ওই ' পচা...! ' কোথায় যাস শোন শোন...! আরে চা বিস্কুট টা শেষ করে যা...! কোথায় যাস!" আমি পেছন ফিরে চেচালাম, " মলয়দা...! আমি ভালো ছেলে গো...!, আমি ' পচা ' নয়...!, আমি সকাল বেলা একদম চা বিস্কুট খাই না...!”  ( সমাপ্ত )

Sunday, February 5, 2023

নিত্যানন্দে নিত্যদিন










স্কুলের নাম নিত্যানন্দ 

     আনন্দটাই মূল,

ক্লাসে গিয়ে দেখি বসে সব

 ভবিষ্যতের ফুল।


হাসিরা সব আপন হলো

 অনুভূতির মাঝে 

 জীবন যেন সেজে আছে  

 নব অভিজ্ঞতার সাজে।


 সময় আছে, এখন তবে

      একে একে বলি,

 ক্লাসের সংখ্যা বেশি হলেই 

  তেলে বেগুনে জ্বলি।


 লোকনাথ যে যোগী মানুষ

       নিজের মতেই চলে,

   পৃথ্বীকে সেই যতই বলি 

আসবে সে প্রার্থনা শেষ হলে।


 সৌম্য এসে তালা খোলায়

      বাকিরা তবেই ঢুকি,

 সবার শেষে কোয়েল ম্যাডাম

       মেরে দিয়ে যায় উঁকি।


 সুরভি সাদা ঘিয়ের মতোই

      পুতুল সেজে আসে,

  নিকিতা তার দিনটা বেশি

         কাটায় মেট্রো ও বাসে।


 সুপ্রিয়া তার মেয়েকে রেখে

        আসে মায়ের মতই,

   মনটা তার মেয়ের কাছেই

      ক্লাস সে করুক যতই।


 হাসিনা ওই দুই-একদিন 

      হেসে দিয়ে গেলো,

  তারপর তার চিরদিনের

          কামাই শুরু হলো।


  সবার মাঝে প্রীতম শুধু

       একাই বাচ্ছা ছেলে,

   নায়ক সে তো সবার মনে

      শুধুই ক্রিকেট খেলে।


  ঠোঁটের নিচে তিলটা নিয়ে 

      চন্দ্রিমা যায় ক্লাসে

   তাকে দেখে ছাত্ররা সব

        মুচকি হাসি হাসে।


   খাতা নিয়ে সেই সারাক্ষন

       ধৃতি বসেই থাকে,

    কামাই করার কারণ

     অন্যের পাক্কা হিসেব রাখে।


   সবার যখন হলো 

  তবে আমিই কেনো বাদ,

  বলো এবার, মিটেছে তো...

     ওই পাঁপড় খাওয়ার স্বাদ?


  একটা কথা শেষ বেলাতে

          না বললেই নয়, 

  থাকি যদি এক ডোরেতে

        আমরা করবো জয়।


                                        নমস্কার... 🙏


           


              


  




    


    


 

Sunday, January 29, 2023

না-বোঝার বোঝা

 



ফুলের ভাষা আর জীবনের পথ

আলাদাই থেকেছে বরাবর...

মনের চাহিদা মনের মনে পড়েনা

জীবনের বোঝা জীবন বোঝেই না...

এত কিছু না বোঝার বোঝাগুলোয়

জীবন যেনো দুমড়ে মুচরে কুঁজো 

এই ভারের স্বাদ পেয়েছে, এই দিবাকর

তাই, ফুলের ভাষা আর জীবনের পথ

আলাদাই থেকেছে বরাবর...


                               সোমনাথ...






Wednesday, November 30, 2022

ভালো থেকো...💞🌼



 

ভালো থেকো...


কী ভাবছো...? নিজেকে রেখেছ যে আনমনে

হয়তো বা আপন কাউকে গোপন করছ... করো... তোমার গোপন অধিকারে অধিকার ফলাতে চাইবো না...

যখন গালে হাত রেখে বসো, ওই আলতো হাসি তোমার গালে হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়... 

ঠিক যখন একই ভাবে কোনো দুঃখ গোপন করো, কৃত্রিম হাসির চাদরে নিজের মুখ ঢাকো... ভাবো কিছু বুঝিনা? 

জানো? হাঁটছি যখন রাস্তায় একা... বেখেয়ালে আসো তুমি, পাশে নয়... মনে। মূহুর্তে রাজ করতে থাকো ...আদেশ যা কিছু পাই, পাইনা লজ্জা মাথা পেতে নিতে তখন।

আর বলি, গোপনে অসুস্থ হতে চাও কেনো বলতো? এটা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার প্রবণতা তোমার! এটা জঘন্য... তখন আমাকে মনে পড়ে না তোমার?

এমনিতে সকল কে সাথে না নিয়ে তোমার একটা সূর্যও অস্ত যায় না। মতলব টা কী তোমার? 

এই ভাবে হয়না, তোমার ইচ্ছামত যখন তখন অসুস্থ হতে পারবে না তুমি, এই বলে দিলাম...

কখনো তো দেখিনি তোমায় নিজের কষ্টের বোঝা আমার সিন্দুকে রাখতে? ভয় পাও বুঝি...? যদি চুরি করে নিয়ে যাই? ওটা পারলে একটু ভাগ করে নিও... ঠিক যেমন তোমার হাতের তৈরী অমৃতের ভাগ পাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার...

হ্যাঁ, একটু ভাগ করে নিও...🙏


Monday, November 28, 2022

চোখে দেখা 🧐




আমরা চোখ দিয়ে দেখি। 

না, কোনো ভুল হয়তো নেই চোখ দিয়ে দেখায়

কিন্তু ভুল একটা হয়, 

কারণ আমরা শুধু চোখ দিয়েই দেখি

আমরা অনুভব করে দেখি না... আমরা, 

একটু  ভেবে দেখিনা... 

একটু পাশে বসে, একটু হতে হাত রেখে বা পাশাপাশি দুই - পা হেঁটে দেখি না আমরা একটু ভালবেসেও দেখি না... 

আমরা বিশ্বাস করে তো দেখিই না ছাড়ো, একটু তাকিয়ে হেসেও দেখি না।

আমরা শুধুই  চোখ দিয়ে দেখি... 

চোখে পড়লে তবেই দেখি, 

চোখে লাগলে তবেই দেখি। 

আমরা শুধুই চোখে চোখে দেখি...

আমরা শুধুই  চোখেমুখে দেখি।

আমরা সর্বদা কথা বলতেই দেখি

আমরা ক‌ই কথা শুনতে কাউকে কেন দেখিনা

আমরা চোখে দেখি, 

তবু চোখের জল দেখিনা,  

আর দেখলেও... 

চোখের জল দেখলেও, সেটা সস্নেহে মুছিয়ে দিতে দেখি না... 

আমরা শুধুই চোখ দিয়ে দেখি।

আমরা ওই চোখের দেখা দেখি, 

কই মনের চোখে তো দেখি না।