এখানেই শিকড়...
সমস্ত রং, জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা এখানে বড় হতে শিখেছি...
আর বেশ মনেপড়ে আমরা যখন পঞ্চম শ্রেণীতে এই মূর্তির চারপাশে এই জালের রক্ষাকবচ বসেনি তখনও, এটা এই সাম্প্রতিক কালের ব্যাপার। নির্মাতারা বোধহয় বুদ্ধমহাশয়কে এমন করে বন্দী করার কথা তখনও ভাবেননি। এখন ভাবি, এই বুদ্ধদেবকে এমন করে এখানে বন্দী করার পিছনে আমাদের প্রায় সকলের একটু হলেও কীর্তিত্ব বা গৌরব আছে। ছোট বেলায় এই বুদ্ধদেব আমাদের আদর করে ডাকতেন, কোলে কাঁধে বা ঘাড়ে বসিয়ে আদর করতেন, ভালোবাসতেন, আমরাও কত কিছুইনা করেছি। একদিন দেখলাম ওনার নাকটা কেউ হয়তো আদরকরে টানতে গিয়ে খুলে ফেলেছে। পরিষ্কার করে বলছি। না, এই মূর্তির কোনো রং ছিলনা। মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে এমন আশঙ্কাও কেউ করেনি কখনো। রং বা ধর্ম নিয়ে এই নোংরামির কোনো ধারণা আমাদের মধ্যে তখনও ছিলই না। বুদ্ধদেব কখনো কাউকে কোল থেকে নামিয়ে দেন নি। সকলকেই আদর করে কাছে ডাকতেন, সকলের হাতেই খেতেন। আমি তো ওনাকে চুমিও দিয়েছি ছোটবেলায়🥰... টিফিন পিরিয়ডে আমি অনেকবার এই মূর্তির কোলে আরাম করে বসে মুড়িও খেয়েছি। একদিন একটা মুড়ি বা বাদাম এনার ঠোঁটে মুখে দিয়েছিলাম, কিন্তু বুদ্ধদেব যেনো আমাকে ইশারা করে পিছনে তাকাতে বললেন, আমি দেখলাম আমার পিছনে। দেখলাম, নিচে মানে কোলের নিচে পায়ের কাছে, বা উপরে, মানে মূর্তির কাঁধে, বা আমার আশেপাশে কেউ কোথাও আমার বন্ধুরা কেউ নেই, দেখি আমার সামনে, আছেন শুধু কঞ্চি হাতে একজন বন্ধু, ইনি হলেন স্যার দীনবন্ধু, আমাদের সেই সময়ের একজন শরীরশিক্ষার শিক্ষক মহাশয়। তারপর কী যে হয়েছিল সে কথা থাক...
No comments:
Post a Comment