স্কুলের নাম নিত্যানন্দ
আনন্দটাই মূল,
ক্লাসে গিয়ে দেখি বসে সব
ভবিষ্যতের ফুল।
হাসিরা সব আপন হলো
অনুভূতির মাঝে
জীবন যেন সেজে আছে
নব অভিজ্ঞতার সাজে।
সময় আছে, এখন তবে
একে একে বলি,
ক্লাসের সংখ্যা বেশি হলেই
তেলে বেগুনে জ্বলি।
লোকনাথ যে যোগী মানুষ
নিজের মতেই চলে,
পৃথ্বীকে সেই যতই বলি
আসবে সে প্রার্থনা শেষ হলে।
সৌম্য এসে তালা খোলায়
বাকিরা তবেই ঢুকি,
সবার শেষে কোয়েল ম্যাডাম
মেরে দিয়ে যায় উঁকি।
সুরভি সাদা ঘিয়ের মতোই
পুতুল সেজে আসে,
নিকিতা তার দিনটা বেশি
কাটায় মেট্রো ও বাসে।
সুপ্রিয়া তার মেয়েকে রেখে
আসে মায়ের মতই,
মনটা তার মেয়ের কাছেই
ক্লাস সে করুক যতই।
হাসিনা ওই দুই-একদিন
হেসে দিয়ে গেলো,
তারপর তার চিরদিনের
কামাই শুরু হলো।
সবার মাঝে প্রীতম শুধু
একাই বাচ্ছা ছেলে,
নায়ক সে তো সবার মনে
শুধুই ক্রিকেট খেলে।
ঠোঁটের নিচে তিলটা নিয়ে
চন্দ্রিমা যায় ক্লাসে
তাকে দেখে ছাত্ররা সব
মুচকি হাসি হাসে।
খাতা নিয়ে সেই সারাক্ষন
ধৃতি বসেই থাকে,
কামাই করার কারণ
অন্যের পাক্কা হিসেব রাখে।
সবার যখন হলো
তবে আমিই কেনো বাদ,
বলো এবার, মিটেছে তো...
ওই পাঁপড় খাওয়ার স্বাদ?
একটা কথা শেষ বেলাতে
না বললেই নয়,
থাকি যদি এক ডোরেতে
আমরা করবো জয়।
নমস্কার... 🙏